ভাঙনের চার বছরের মাথায় আবার এক হওয়া গণফোরাম নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে; জাতীয় সম্মেলন থেকে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। দলের প্রতিষ্ঠাতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনকে ইমেরিটাস সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে। রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গত শনিবার সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে তাদের নেতৃত্বে ১৫১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন বিকাল ৩টায় শুরু হয় গণফোরামের কাউন্সিল অধিবেশন। কাউন্সিল শেষে সর্বসম্মতিতে রাতে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নেতৃত্বের কোন্দলে চার বছর আগে ২০২০ সালে আলাদা হয়ে গিয়েছিল গণফোরামের দুই পক্ষ। কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশটির বাইরে গিয়ে আরেকটি কমিটি ঘোষণা করেছিলেন মোস্তফা মহসীন মন্টু এবং তার অনুসারীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। এর আগে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে আসা কামাল হোসেন এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বেরিয়ে আসা সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে ১৯৯৩ সালের ২৯ অগাস্ট প্রতিষ্ঠা হয় গণফোরাম। সেসময় কামাল সভাপতি, আর মানিক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিকের মৃত্যুর পর সাধারণ সম্পাদক হন মোস্তফা মহসীন মন্টু।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কামাল হোসেনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও নানা সিদ্ধান্তের ফলে খুব বেশিদিন কেউই থাকতে পারেননি দলটিতে। প্রতিষ্ঠাকালীন অনেক সদস্যই বহু আগে সংগঠন ছেড়ে যান, পরে আবার অনেকে যোগ দেন। কোভিড মহামারীর মধ্যে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বর্ধিত সভা করে আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দুই ভাগ হয় গণফোরাম। এরপর দুই পক্ষকে এক করতে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এতদিন সফল হয়নি। পরে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশেষ কাউন্সিলে কামাল হোসেনকে এমিরেটাস সভাপতি করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়; সভাপতি হিসেবে মফিজুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. মিজানুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।
ঐক্যবন্ধ হওয়ার সময় ৩০ নভেম্বর জাতীয় সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিন সম্মেলনের উদ্বোধনির পর অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচনি কমিটিও গঠন করা হয়। পরে এ কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে নতুন কমিটি ঘোষণা করে। নির্বাচনি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী সগির আনোয়ার। নির্বাচনি কমিটির পক্ষে নতুন কমিটির সদস্যদের নাম পড়ে শোনান সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী।
এর আগে মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে কাউন্সিল অধিবেশনে উত্থাপিত সাংগঠনিক প্রস্তাব, রাজনৈতিক প্রস্তাব ও অর্থবিষয়ক প্রস্তাবের ওপর বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা নেতারা আলোচনা করেন। ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের চেতনায় বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই’ স্লোগান সামনে রেখে গণফোরামের সপ্তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয় গত শনিবার সকালে। সম্মেলন উদ্বোধন করেন জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে নিহত মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়ার বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
সভাপতি পরিষদ সদস্য
এস এম আলতাফ হোসেন, সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ, মোশতাক আহমেদ, ফজলুল হক সরকার, সেলিম আকবর, সুরাইয়া বেগম, হারুনুর রশিদ তালুকদার, রতন ব্যানার্জী, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, আবুল হাসনাত, অ্যাডভোকেট নিলেন্দু দেব, গোলাম হোসেন আবাব, কাজী মেজবাহ উদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী বাদল।
কোষাধ্যক্ষ
শাহ নূরুজ্জামান
সম্পাদক পরিষদ
আয়ুব খান ফারুক, অধ্যক্ষ মো. ইয়াছিন, লতিফুল বারী হামিম, রফিকুল ইসলাম পথিক, মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, এ কে এম রায়হান উদ্দিন, আলীনূর খান বাবুল, শরীফুল ইসলাম সজল, মো. নাজমুল ইসলাম সাগর, মামুনূর রশিদ মামুন, মির্জা হাসান, মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, আব্দুল হামিদ মিয়া, বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলী, মোশারফ হোসেন তালুকদার, তাজুল ইসলাম, রনজিদ সিকদার, আজিজুর রহমান ভূঁইয়া মজনু, সানজিদ রহমান শুভ, আজাদ হোসেন, প্রভাষক বকুল ইমাম, মোমেনা আহমেদ মুমু, খনিয়া খানম ববি, মো. আশরাফুল ইসলাম, তৌফিকুল ইসলাম পলাশ, মো.আলী লাল, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মজিবুর রহমান শিবলু, মাহফুজুর রহমান মাসুম ও ফারুক হোসেন।
আয়ুব খান ফারুক, অধ্যক্ষ মো. ইয়াছিন, লতিফুল বারী হামিম, রফিকুল ইসলাম পথিক, মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, এ কে এম রায়হান উদ্দিন, আলীনূর খান বাবুল, শরীফুল ইসলাম সজল, মো. নাজমুল ইসলাম সাগর, মামুনূর রশিদ মামুন, মির্জা হাসান, মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, আব্দুল হামিদ মিয়া, বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলী, মোশারফ হোসেন তালুকদার, তাজুল ইসলাম, রনজিদ সিকদার, আজিজুর রহমান ভূঁইয়া মজনু, সানজিদ রহমান শুভ, আজাদ হোসেন, প্রভাষক বকুল ইমাম, মোমেনা আহমেদ মুমু, খনিয়া খানম ববি, মো. আশরাফুল ইসলাম, তৌফিকুল ইসলাম পলাশ, মো.আলী লাল, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মজিবুর রহমান শিবলু, মাহফুজুর রহমান মাসুম ও ফারুক হোসেন।