বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফরিদপুর জনতা ব্যাকের মোড়ে ছাত্র জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে মারাত্মক আহত রাজিব সর্বাঙ্গে গুলি নিয়ে ধুঁকছেন। ব্যক্তিগত সামর্থ্যে চার হাসপাতাল থেকে অপারেশন করিয়ে কিছু গুলি বের করলেও শরীরের স্পর্শকাতর স্থান সমূহে এখনো রয়েছে অনেক গুলি। বড় ক্ষতির আশংকায় চিকিৎসকরা আর অপারেশন করতে ভয় পাচ্ছেন; অথচ রাজিব ধুঁকছেন ব্যথায় এবং ভবিষ্যতের শংকায়। জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির ধুলিয়াট গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রাজিব খান (২৮) ফরিদপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। ৪ আগস্ট ২০২৪ ঘটনার দিন তিনি আলীপুর গোরস্থান এলাকা থেকে ছাত্র জনতার মিছিলে যোগ দেন। মিছিল জনতা ব্যাংকের মোড়ে গেলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পুলিশ নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে। রাজিবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৪০/৪৫টি শর্টগানের গুলি লাগে। রাজীব খান জানান, 'পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে ১৪-১৫ জন আহত হয়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আমি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হই। কিন্তু পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে রাত দশটার দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করি। পরে পাংশা আধুনিক ক্লিনিক এবং পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নেই। এরপর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা নেই। সাকুল্যে এ পর্যন্ত আমার শরীর থেকে ৩০ টার মত গুলি বের করা হয়েছে। এখন কানের লতির নিচে, ঘাড়ে, গলায়, হাতের কব্জির মধ্যে এবং স্পর্শকাতর স্থান সমূহে গুলি রয়েই গেছে। প্রতিনিয়ত ব্যথা অনুভব করি।'চিকিৎসায় সরকারি কোনো সহযোগিতা পেয়েছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে রাজিব জানান, 'না কোন সরকারি সহযোগিতা চিকিৎসার বিষয়ে পাইনি। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং পাংশার উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিকিৎসার বিষয়ে আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত চিকিৎসার বিষয়ে আমি কোনো সহযোগিতা পাইনি।' রাজবাড়ী জেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগ কর্তৃক জুলাই বিপ্লবে আহতদের তালিকায় রাজিবের সিরিয়াল ৪৫ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকায় রাজিবের কেস নং ৮১১০।