যশোরের মণিরামপুর প্রেসক্লাবের আইসিটি সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ তাজাম্মূল হুসাইনকে মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। সোমবার রাতে তাজাম্মূল হুসাইন বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। যার মণিরামপুর থানার মামলা নাম্বার ১৫। তবে আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারী পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে মণিরামপুর বাজারের দক্ষিণ মাথার ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের সামনে পৌছুলে প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি তাজাম্মূল হুসাইনকে একা পাইয়া আসামি বুলবুল আহম্মেদ বুলি সাংবাদিকের জামার কলার ধরিয়া এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করিতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামির পকেটে থাকা একটি ধারালো চাকু বের করিয়া তাকে হত্যার উদ্দেশ্য গলায় পোচ দিতে উদ্যত হইলে সাংবাদিক তাজাম্মূল হুসাইন মাথা নিচু করিয়া বাঁধা প্রদান করে। এ সময় আসামি বুলবুল আহম্মেদ বুলির ধারলো চাকু তাজাম্মুলের বাম কানের নিচে লাগিয়া রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। সাংবাদিক তাজাম্মূল হুসাইন জীবন রক্ষার্থে ডাক চিৎকার করিলে তার সহকর্মীরা ছুটে গেলে আসামি বুলি সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় আহত তাজাম্মুলকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করে সত্যতা পায়। ওইদিন রাতেই সাংবাদিক তাজাম্মূল হুসাইন বাদী হয়ে বুলবুল আহম্মেদ বুলির নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে সাংবাদিকসহ সুধী মহলের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করে। এ ব্যাপারে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, সাংবাদিক তাজাম্মুলকে মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া আসামি বুলবুলকে আটকের জোর চষ্টা অব্যাহত রয়েছে।