সৈয়দপুরে পাঁচদিনেও মেলেনি সূর্যের দেখা

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : : | প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
সৈয়দপুরে পাঁচদিনেও মেলেনি সূর্যের দেখা

সৈয়দপুরে গত চারদিনেও মেলেনি সূর্যের দেখা। মাঘের শুরুতেই বাড়ছে আরো শীতের প্রকোপ। গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা,হিমেল হাওয়া আর হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। দিনে ও রাতে বৃষ্টির মতো করছে শিশির। পাঁচদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত আচ্ছন্ন থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। আকাশপথেও বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এদিকে রাত ও দিনে তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। মানুষ খরকুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রচন্ড শীতে কাজে বের হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ। ঠান্ডা বাতাসে ঘরে থাকাও দায় হয়ে পড়েছে মানুষের। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা ও আলুক্ষেত। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

এদিকে প্রচন্ত ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পশুপাখি। এদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে শিতজনিত রোগ। এমন তথ্য জানালেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। শুক্রবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,রাতভর পড়া কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা রাস্তা। গাছের পাতা, ফসলের ক্ষেত আর ঘাসের ওপর টপটপ করে পড়ছে শিশিরবিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে সকালে সড়কের যানবাহনগুলো চলে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কুয়াশার মধ্যেই গাঁয়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছোটেন কাজের সন্ধানে। চওড়া বাজার এলাকার কাঠ মিস্ত্রী মোল্লা বলেন,

কয়েকদিন ধরে যে ঠান্ডা,এই ঠান্ডায় কাজ করা খুব কষ্টের। দিনমজুর পরিতোষ রায় বলেন,ঠান্ডার কারণে কেউ ঘর থেকে বের হয় না। আমাদের মতো দিনমজুর মানুষের বাড়িতে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। বাদিয়ার মোড় এলাকার অটোচালক আব্দুল মোতালেব বলেন, পেটে খায় তাই চালাচ্ছি। শীতের কারণে যাত্রী বের হচ্ছে কম। ঠান্ডার কারণে সবার সমস্যা হচ্ছে। বাসচালক মতিয়ার রহমান বলেন,ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি ধীরে ধীরে চালাতে গিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। 

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে। এমন তথ্য জানালেন সৈয়দপুর  ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আব্দুর রহিম। 

সৈয়দপুর তামান্না হলের পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম ঝন্টু বলেন,প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে সিনেমা হলে দর্শক কমে গেছে। সৈয়দপুর রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বখতিয়ার হোসেন বলেন,অতিরিক্ত ঠান্ডায় সন্ধ্যার পর শহরে লোকজন আসছেন না। ফলে হোটেলে বিক্রি কমে গেছে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে