শুধু বিএনপি'র রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবুর ছোট ভাই হওয়ার অপরাধে দুর্নীতির নাটকের মাধ্যমে প্রথমে সাময়িক বহিষ্কার। পরে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার। শুধু তাই নয় পাংশা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এ আর মাহমুদুল হক রোজেন জীবন বাঁচাতে আত্মগোপনে ছিলেন দশ বছর। এরপর অনেকটা গোপনেই তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। ১৫ বছর পর রাজবাড়ীর আদালত গতকাল ২২ জানুয়ারি মাহমুদুল হক রোজেনের পক্ষে রায় দেন।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের রাজবাড়ী- ২ আসনের সংসদ সদস্য মো: জিল্লুল হাকিম পাংশা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি থাকা কালীন কলেজ গভর্নিং বডির মাধ্যমে তৎকালীন অধ্যক্ষ এ আর মাহমুদুল হক রোজেনকে ২০০৯ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষককে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেতন উত্তোলন করতে দোয়ার সুযোগ করে দেয়ার অপরাধে প্রথমে সাময়িক বহিষ্কার এবং পরে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেন।
আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পাংশা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এ আর মাহমুদুল হক রোজেন বলেন, শুধু নাসিরুল হক সাবুর ভাই হওয়ার কারণে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে চাকরি থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাদের অত্যাচারে দীর্ঘ ১০ বছর জীবন বাঁচাতে আমাকে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল। আমি প্রধানত আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছিলাম। আল্লাহ সঠিক বিচার করেছেন। যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তারা তাদের সঠিক ফল পেয়েছেন।
পাংশা সরকারি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আইয়ুব আলী সরদার সাবেক অধ্যক্ষ এ আর মাহমুদুল হক রোজেন সম্পর্কে বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী বিধি মোতাবেক সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালে এ আর মাহমুদুল হক রোজেন অবসরে চলে চলে যান। আদালতের রায় অনুসারে তিনি এখন বকেয়া সকল বেতন ভাতা এবং অবসর সুবিধা পাবেন।