সরাইলে ফসলি জমির মাটি কেটে ফসলি জমি ভরাট

এফএনএস (মাহবুব খান বাবুল; সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : : | প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম : | আপডেট: ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
সরাইলে ফসলি জমির মাটি কেটে ফসলি জমি ভরাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের চারিদিকে ফসলি জমির মাটি কাটা ও পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুর ভরাটের ব্যবসা এখন জমজমাট। এক শ্রেণির লোকের মূল ব্যবসাই এখন ড্রেজার আর বেকু দিয়ে মাটি কাটা। দেশীয় ট্রাক্টর, ড্রাম ট্রাক দিয়ে ইটভাটায়, সড়কে ও বসতবাড়িতে মাটি বিক্রি কলে লাখ লাখ টাকা কামাই করছেন ওরা। টাকা-ই তাদের কাছে মূখ্য। আইন পরিবেশ রক্ষা ও ফসল উৎপাদন তাদের কাছে গৌণ বিষয়। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আখিঁতারা  দশকানিয়া ও আইরল মৌজায় একাধিক ড্রেজার দিয়ে গত ১৫ দিন ধরে আহাদ মিয়া নামের ব্যক্তি কাটছেন ফসলি জমি। ওই মাটি দিয়ে আখিঁতারা এলাকায় ভরাট করছেন আরেক পুকুর ও ফসলি জমি। ফসলি জমির মাটি কাটার কথা স্বীকার করে আহাদ মিয়া বলেন, ৭ বছর আগে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে মাটি কাটার অনুমতি এনেছিলাম। সেইটা দিয়েই চলছে। 

সরজমিন অনুসন্ধান ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আহাদ মিয়া গত ১৫দিন ধরে ২টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনে রাতে কাটছেন ফসলি জমি। সেখানে মোট ১৭ কানি জমির মাটি কাটার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন আহাদ মিয়া নিজেই। এরমধ্যে ৭ কানি জমির টপসয়েল কেটে আরো ১০-১২ ফুট গভীরে মাটি কাটছেন। আর সেই মাটি আখিঁতারা বন্দের হাটি এলাকায় বিক্রি করছেন। ফলে আশপাশের ফসলি জমি গুলো নীচের দিকে ধেবে যাওয়ার শঙ্কাও বাড়ছে। বন্দের হাটিতে একটি পুকুর ও আধাকানি ফসলি জমি ভরাট করছেন। ইউনিয়নের অন্যান্য গ্রামের ফসলি জমিও ভরাটের কাজ করছেন তিনি। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, পাইপের সাহায্যে মাটির দিয়ে মাটি অনেক দূর বিক্রি করছেন। তিনি নাকি ফসলি জমিকে পুকুরে রূপান্তর করবেন। ১৭ কানি জমির মাটি বিক্রি করার বিশাল পরিকল্পনা দিয়েছেন তিনি। আর ট্রাকের সাহায্যে যে মাটি যায় সেগুলো পরিবেশ দূষণ করে। ধূঁলো উড়িয়ে বাড়িঘর ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। আহাদ মিয়া ফসলি জমির মাটি কেটে নিজগ্রামসহ অন্যান্য গ্রামে পুকুর ও ফসলি জমি চুক্তির ভিত্তিতে ভরাট করার কথা স্বীকার করে বলেন, ৭ বছর আগে ডিসি থেকে অনুমতি এনেছিলাম। মাঝখানে ৪ বছর বন্ধ ছিল। এখন আবার সেইটা দিয়াই চালাইছি। ১৭ কানি জমির মাটি বিক্রি করে পুকুরে রূপান্তর করব। আপাতত ৭ কানি কাটতে পারছি। আস্তে আস্তে বাকি ১০ কানিও কাটব। এ বিষয়ে জানতে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন উপসহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিনের (নায়েব) মুঠোফোনে (০১৯১৩-৯৮১৩৭০) একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে