গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ইসরায়েলের চার নারী সেনাকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের দুটি গ্রুপকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হামাস ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
মুক্তি পেতে যাওয়া ইসরায়েলি চার সেনা হলেনÑ লিরি আলবাগ (১৯), কারিনা আরিয়েভ (২০), ডেনিয়েলে গিলবোয়া (২০) এবং নামা লেভি (২০)। তারা সবাই ইসরায়েলের সামরিক নজরদারি ইউনিটের সদস্য ছিলেন। গত ৭ অক্টোবর গাজার কাছে নাহাল ওজ সামরিক ঘাঁটিতে হামলার সময় হামাস তাদের আটক করেছিল।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের দুটি দলে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দলটিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ছেড়ে দেওয়া হবে, আর দ্বিতীয় দলকে গাজা উপত্যকায় ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে বা মিশরে নির্বাসিত করা হতে পারে।
এই বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দফা কার্যকর হচ্ছে। এর আগে, ১৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় তিন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস, আর বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পায়।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রথমে নারী বেসামরিক নাগরিকদের, এরপর নারী সেনাদের, তারপর বৃদ্ধদের এবং পরে যারা গুরুতর অসুস্থ তাদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েল হামাসের কাছে আরবেল ইহুদের মুক্তির জন্য অনুরোধ করেছিল, তবে তিনি এই দফায় মুক্তি পাচ্ছেন না বলে নিশ্চিত করেছে বিবিসি।
ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হতে পারে কি না, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আরও বড় ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।