জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছুটি না নিয়ে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি। প্রধান শিক্ষক জানেনা ওই শিক্ষক কি কারনে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। মাদকাসক্ত ওই শিক্ষক আঃ রহিম (৪৫)ক্ষেতলাল পৌর এলাকার ফকিরপাড়া মহল্লার সোহরাব হোসের ছেলে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই স্কুলের এক শিক্ষক জানান, আমরা অনেক আগেই জেনেছি আঃ রহিম মাদকসেবন করেন। তাকে অনেকবার মাদকের পথ পরিহার করতে বলেছি তিনি স্বীকার করতেন না। পরে দেখি তিনি স্কুলে নিয়মিত আসতেন না। এলেও নানা কারণ দেখিয়ে চলে যান। মাদক না নিলে তার শরীর সব সময় কাঁপত এতে বোঝা যায় তিনি মাদকসেবী। একাধিকবার সতর্ক করেও কোন লাভ হয়নি। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সে স্কুলে অনুপস্থিত। ওইদিন স্কুল চলাকালীন সময় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে লোকজন এসে তাকে স্কুল থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে আর স্কুলে আসেননি। পরে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে পরিবারের লোকজন তাকে বগুড়ার একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করিয়েছেন। চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষাদীরা জানায়, আঃ রহিম স্যার আমাদের বাংলা বিষয় পায়। একমাস থেকে ক্লাসে আসেনি । এ বিষয়ে শিক্ষক আঃ রহিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার স্ত্রী জানান, আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এঘটনায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আছমাউল হোসনাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আঃ রহিম গত ১১ জানুয়ারি থেকে অসুস্থ্যতার কারনে স্কুলে আসেনি। অসুস্থতার কারন জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে গিয়ে বলেন, কেন ওই শিক্ষক স্কুলে আসেনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে জেনে নিন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, আমার শুনেছি সহকারী শিক্ষক আঃ রহিমক মাদক সেবন করে। তাকে মেডিকেল ছুটি আমরা দেয়নি। মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছে এমন খবর আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে এটিও এফাজ উদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছি তদন্ত করে প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হইবে।