ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন ভবনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযানে দুদকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসির সংরক্ষিত ইভিএমগুলো পরীক্ষা করে। অভিযানে তারা একটি নষ্ট ইভিএম পান বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক নুর আলম সিদ্দিকি।
তিনি জানান, ২০১৮ সালে এক লাখ ৫০ হাজার ইভিএম কেনা হয়েছিল, যার মধ্যে এক লাখ পাঁচ হাজার মেশিন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অনিয়মের তদন্তে দুদক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে এবং প্রয়োজনে আইটি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
নুর আলম সিদ্দিকি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন তাদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা রেকর্ড সংগ্রহের পর যাচাই-বাছাই করব। মেশিনগুলো বেশি দামে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে, তাই কেনাকাটার নথিও চাওয়া হয়েছে।”
নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত মেশিনগুলোর মধ্যে ৬১৮টি ইসিতে, ৮৬ হাজারটি বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) এবং ৬২ হাজারটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে সংরক্ষিত রয়েছে। দুদকের এই তদন্তের ফলে ইভিএম কেনায় সম্ভাব্য দুর্নীতি উন্মোচিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।