টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের সেরা অবস্থানে থেকে শেষ করল বাংলাদেশ। সাতে থেকে এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করেছে টাইগাররা। এর আগের দুই চক্রে নয় দলের মধ্যে নবম হলেও এবার আর তলানিতে থাকতে হয়নি বাংলাদেশকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের হারে নির্ধারিত হয়েছে এবারের চক্রে সাতে থেকে শেষ করল টাইগাররা। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের তৃতীয় চক্রের শুরুটা হয়েছিল জয় দিয়ে। সেটা ছিল সিলেটে পূর্ণ শক্তির নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে; কিন্তু পরের ম্যাচে মিরপুরে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে যায় বাংলাদেশ। মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই হয় টাইগাররা। তবে পরের সিরিজেই আবার অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পাকিস্তানের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিকদের প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ যা এই ফরম্যাটে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম বড় সাফল্য। উড়তে থাকা সেই দলটাই পরের পাঁচ টেস্টে জয়ের দেখা পায়নি। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের পর অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজও শুরু হার দিয়ে। তবে শেষ টেস্টে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। নাহিদ রানার আগুন ঝরানো বোলিং, জাকের আলীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে হারায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে এই চক্রে নিজেদের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। ২০১৯-২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে ৭ ম্যাচ খেলে একটিও জয় পায়নি বাংলাদেশ, হেরেছিল ৬টিতে। এক ড্রয়ে বাংলাদেশ সেবার ৯ নম্বরে থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করে। ২০২১-২৩ সালের দ্বিতীয় চক্রে বাংলাদেশ ১২টি টেস্ট খেলে এক জয় ও এক ড্র নিয়ে বাংলাদেশ ছিল পয়েন্ট তালিকার তলানিতে। ২০২৩-২৫ চক্রে ১২টি ম্যাচ খেলে ৪টিতে জয় পায় বাংলাদেশ, হেরেছে ৮টিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পাকিস্তানের হারে নির্ধারিত হয়েছে এবারের চক্রে নবম দল হয়েছে পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থাকল অষ্টম স্থানে (২৮.২১ শতাংশ পয়েন্ট)। আর পাকিস্তান নয় নম্বরে শেষ করল (২৭.৯৮ শতাংশ পয়েন্ট)।