বগুড়ার শেরপুরে জমিতে পানি সেচ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিদ্যুত চালিত সেচ পাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২৭ জানুয়ারী (সোমবার) উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উত্তর আমইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী মোস্তাফিজার রহমান বাদী হয়ে ওইদিনই উত্তর আমইন গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে মো. আহাদ আলী (৫৫) ও মো. জামাল উদ্দিন (৫২) ও জামাল উদ্দিনের ছেলে দুলাল হোসেন (৩৮) এর বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় ও শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, উত্তর আমইন গ্রামের মো. আব্দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান ওই এলাকার বিলচড়া মাঠে বিদ্যুত চালিত অগভীর নলকূপের মাধ্যমে নিজের জমিসহ ঐ এলাকার বেশ কিছু কৃষকের জমিতে ভাড়ায় পানি সেচ দিয়ে আসছিলেন। অভিযুক্ত আহাদ আলী মোস্তাফিজার রহমানকে কিছু জমিতে পানি সেচ দিতে নিষেধ করেন। অন্যদিকে, জমির মালিকরা আহাদের সাথে টাকার দরদামে বনিবনা না হওয়ায় তার কাছ থেকে সেচ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষরা মোস্তাফিজারকে নানাবিধ হুমকি ধামকী দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে মোস্তাফিজার রহমানের জমিতে থাকা অগভীর নলকূপের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে, আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্থানীয় জমির সেচ গ্রাহক বাচ্চু মিয়া টের পেলে ডাক চিৎকার শুরু করে। মোস্তফিজারের পিতা আব্দুর রহমান সংবাদ পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভায়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভুক্তভোগী কৃষক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘নিজের জমিতে সেচ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যের জমিতে সেচ দিয়ে কিছু বাড়তি আয়ের আশায় প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করে সেচ পাম্পটি কিনেছিলাম। আমার আয়ের মাধ্যম সেচ পাম্পের সঙ্গে এতটা নিষ্ঠুরতা মানুষ করতে পারে তা ভাবতেই পারিনি।’ দ্রুত দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে সেচ গ্রাহক বাচ্চু, খায়রুল, জাহাঙ্গীর জানান, আহাদের সাথে সেচের দাম নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় আমরা মোস্তাফিজারের নলকূপ থেকে সেচ দিই। সে অনেক সময় সেচের টাকা বেশি দাবী করে এবং সময়মত জমিতে সেচ না দেওয়ার ফলে ফসল নষ্ট হয়।
বিষয়টি নিয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।