ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান পীরে-এ-কামেল আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেছেন- কেবলই ক্ষমতার পালাবদল জাতীয় জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না। একটি সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠনে সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রয়াস বাস্তবায়ন আবশ্যক। রাজনীতিতে প্রতিহিংসাপরায়নতা প্রতিষ্ঠা পেলে দেশ-জাতি লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন- যুবসমাজ একটি দেশের জন্য সম্পদ এবং সঞ্জিবনী শক্তিস্বরূপ। সুতরাং একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মানে দেশের বিপুল সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে বৈপ্লবিক চেতনায় এগিয়ে আসতে হবে। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন- যুবমন হচ্ছে বৈপবিক চেতনাসমৃদ্ধ। সর্ব প্রকার অন্যায়-অসঙ্গতি, অসত্য-অসুন্দর, মজলূম- অসহায়জন তথা বঞ্চিত-নিপীড়িতদের পক্ষে সংগ্রামমূখর হয়ে একটি সুস্থ, সুন্দর, স্থিতিশীল ও শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা যুবদের দ্বারা অধিকতর সম্ভব বলে উল্লেখ করে তিনি যুবসমাজকে ইসলামিক যুবফ্রন্ট বাংলাদেশ এর পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য উদাত্ত আহবান জানান। ইসলামিক যুবফ্রন্ট বাংলাদেশ এর ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ইসলামিক যুবফ্রন্ট বাংলাদেশ এর সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ মনির হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান আওলাদে রাসূল পীরে-এ-কামেল আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মহাসচিব শায়খুল ইসলাম অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি অধ্যাপক আল্লামা সাইয়িদ আবদুল্লাহ আল মারুফ শাহ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব পীরে তরিকত আল্লামা মোশারফ হোসেন হেলালী, সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা বিভাগ মো. তরিকুল হাসান লিংকন, সহ যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাওলানা মো. আল-আমিন দেওয়ান আল-আবেদী, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম প্রধানিয়া।
ইসলামিক যুবফ্রন্ট বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু ছাদেক ছিটু এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ নুরুল আলম, আব্দুল মালেক রেজভী, আহমদ রেজা, সৈয়দ আবু সাঈদ শাফিন, মোহাম্মদ এনামুল হক, মো. রাহাত হাসান রাব্বী, মোরশেদ আলম, গোলাম আহমদ রিপন, দেলোয়ার হোসেন ফয়সাল, সাইফুল ইসলাম লিটন, কামরুল হাসান শাকিল, শাকিল আহমেদ দরায়ী, মোজাম্মেল হোসাইন, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ সানি দেওয়ান ও আবদুল হামিদ প্রমূখ। সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য রর্্যালী পল্টন হয়ে বায়তুল মোকাররম গেইটে গিয়ে শেষ হয়।