তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে "বিজয়ের উল্লাসে, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে" শীর্ষক আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান । অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার, সিভিল সার্জন ডা: সাইফুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মুজিবুল আলম,হয়বতনগর এইউ কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাও আজিজুল হকসহ কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অফিসের অফিস প্রধানগণ, সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সবাইকে জেলা তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে ধন্যবাদ জানাচ্ছি জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্র জনতাকে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিপ্লবের সকল স্টেকহোল্ডারদেরকে, কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করছি এ বিপ্লবের সকল শহিদদেরকে, দোয়া ও সুস্থতা কমনা করছি সকল আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী সাহসী অরুণ্যের শক্তিকে। তারুণ্যনির্ভর বৈষম্যহীন ও জবাবদিহীতামূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের অংশগ্রহণে তারুণ্যের শক্তি, আবেগ এবং উদ্বোগী চেতনায় সমৃদ্ধ এই বাংলাদেশ প্রস্তুত পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যেতে আমাদের তরুণ প্রজন্মই সেই প্রেরণা, যারা আগামী দিনের বাংলাদেশকে আরও উন্নত, সমৃদ্ধ, এবং গৌরবময় করতে পারে। তাদের মেধা, সৃজনশীলতা ও অদম্য মনোবল আমাদের জাতির অগ্রযাত্রার মূল শক্তি। বাংলাদেশে বর্তমানে কর্মক্ষম জনসংখ্যা প্রায় ৬৩% যাকে আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বলছি। এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট এর সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রাম, শহর, পুরো জাতি, সুবিধাবঞ্চিত সকল শ্রেণির মাঝে সামাজিক ও অর্থনৈতিক চালিকাশক্তিতে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলেই আমাদের বৈষম্যহীন ও জবাবদিহীতামূলক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। সরকার ইতোমধ্যেই সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের মাধ্যমে জেন-জি ও আলফা জেনারেশনকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে। এ কার্যক্রম আরো তরান্বিত করা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। সম্মানিত সুধী, মাদক, গুজব, অপপ্রচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, সাংবাদিকবৃন্দ ও তরুণ সমাজের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও জনসচেতনতা তৈরিই পারে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম বাতিঘর। সুধীবৃন্দ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সঠিক ব্যবহার, মোবাইল আসক্তি, পরিবেশ সংরক্ষণ, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে ব্যপক প্রচারে আপনারা হতে পারেন অন্যতম সারথী। দেশপ্রেম ও ধৈয্য শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই বিপ্লবের শোককে, শক্তিতে পরিনত করা গেলে আমরাই হতে পারি নতুন বাংলাদেশের চালিকা শক্তি। বিজয়ের চেতনা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কেবল উচ্ছ্বাসে নয়, বরং দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজে অনুপ্রাণিত করবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে বিজয়ের এই চেতনাকে ধারণ করি, তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাই, এবং আমাদের মাতৃভূমিকে একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাই।