শেরপুরে ৯১ হাজার ৯৪৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ

এফএনএস (শাকিল আহমেদ শাহরিয়ার; শেরপুর) : : | প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:২৩ পিএম
শেরপুরে ৯১ হাজার ৯৪৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ

খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা শেরপুর। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় এ জেলার অধিকাংশ জমির আমন ধানের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় । তাই এবার বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ইরি-বোরো ধানের আবাদের প্রতি নজর কৃষকদের। একদিকে ফাঁকা জমি অপরদিকে অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় শেরপুর জেলার কৃষকরা এ বছর আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা তৈরি ও রোপণ কাজ দ্রুত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেকের বেশি জমিতে বোরো ধানের রোপণ কাজ শেষ হয়েছে। যা গত বছরের অগ্রগতির চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এদিকে, বোরো আবাদে শতভাগ সফলতা অর্জন করতে নানামুখী পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে জেলা কৃষি বিভাগ। নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ ও মনিটরিং করা, সার সংকট যাতে না হয় এজন্য সার্বক্ষণিক সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সার মজুত রাখা হচ্ছে। ফলে এবার সার সংকটের কোনো সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। শেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে ৯১ হাজার ৯৪৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ৩১ হাজার ৬৫৩ হেক্টর জমিতে উফশী ও ২৬ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শেষ হয়েছে। এজন্য ৪ হাজার ৯৩২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের। চলতি মৌসুমে শেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৪৭ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার, ৬০৭ মেট্রিক টন টিএসপি, ১ হাজার ৬৯৯ মেট্রিক টন ডিএপি ও ১ হাজার ২৮৪ মেট্রিক টন এমওপি সার মজুত রয়েছে। নালিতাবাড়ীর সন্যাসিভিটার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বন্যায় আমার আমন ধানের আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। আমার সব জমি পতিত। তাই আমি আগেভাগেই ধান রোপণ করেছি । আমার স্বপ্ন এখন এই বোরো আবাদে। ঝিনাইগাতীর রমেজ শেখ বলেন, গত বছরের মতো ভয়াবহ বন্যা আমি আর দেখি নাই। আমাদের সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে । এবার ধার- দেনা করে  বোরো ধান রোপণ করছি যেন গত বন্যার আমন ধানের ক্ষতিটা পোষাতে পারি। কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি শেরপুর জেলার উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত বছরের বন্যায় শেরপুর জেলার কৃষকরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। তারা বোরো ধানের চাষ করে ক্ষতি কাটানোর চেষ্টা করছে। তারা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা নিয়েই দিন-রাত চেষ্টা করছে। আমরাও সার্বক্ষণিক কৃষকদের সহযোগিতার জন্যে আছি। আমাদের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছি। এবার সারের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য আমরা সচেতন আছি।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে