বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্যাতন ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নিঃশর্ত মুক্তি ও বাংলাদেশে ভারতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের পেট্রাপোল বাসস্ট্যান্ড থেকে পশ্চিমে প্রধান সড়কে ‘পেট্রাপোল চলো’ নামে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিজেপি। বনগাঁ মহাকুমা বিজেপির উদ্যোগে ‘পেট্রাপোল চলো’ নামে প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বনগাঁ মহাকুমা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মন্ডল। এ সময় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। আরও বক্তব্য রাখেন বনগাঁ লোকসভা আসনের এমপি শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁর ৯৫ এর বিধায়ক অশোক কিত্তোনী, ৯৬ এর বিধায়ক স্বপন মজুমদার, ৯৭ এর বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়সহ রাজ্যের সকল এমপি এমএলএ সহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে ওপারের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে। সমাবেশ শেষে বিকেল ৪ টায় শুভেন্দু অধিকারী ও বনগাঁ লোকসভা আসনের এমপি শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁর বিধায়ক অশোক কিত্তোনীয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভিমুখে একটি প্রতিকী পদযাত্রা বের করে। এসময় বিক্ষোভ মিছিলকারীরা নোম্যান্সল্যান্ড অভিমুখে রওনা দিয়ে ১০০ গজ আগে মিছিল শেষ করেন। এরপর মিছিলটি ঘুরে সি ডব্লিউ সিএস অর্থ্যাৎ পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করেন। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত পথ সভায় শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলবেন, বাংলাদেশের ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। না হলে বাংলাদেশে সকল প্রকার আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হবে। এমন ঘোষণা দিয়ে প্রতিকী হিসাবে ২০ মিনিট আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখেন তারা। ভারতের পেট্রাপোলের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি টেলিফোনে জানিয়েছেন। বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ওপারে হরিদাসপুর পেট্রাপোলে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল।