প্রবাসীর ক্রয়কৃত জমি দখলের জন্য রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে সাতজনকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে জমির ওপর থাকা সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও রহস্যজনক কারনে অভিযোগের তদন্ত না করেই হামলাকারীদের সাথে আপোস হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন থানার ওসি। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের উত্তর সাকোকাঠী গ্রামের। রোববার সকালে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান মোল্লার ছেলে সহিদুল আলম ফারুক অভিযোগ করে বলেন, বিগত আট বছরপূর্বে আমার সৌদি প্রবাসী ছোট ভাই বিপ্লব হোসেন একই গ্রামের জনৈক বদরুল আলম ও তার বোন হোসনেয়ারা বেগমের কাছ থেকে সাড়ে চার শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন। গত ২৯ জানুয়ারি ওই জমিতে দেয়াল নির্মানের পর দালান করতে গেলে বাঁধা প্রদান করে কাজ বন্ধ রাখার জন্য থানায় লিখিত দেয় স্থানীয় সামছুল হক মোল্লা। তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে পুলিশের অনুরোধে আমরা কাজ বন্ধ রাখি। কাজ বন্ধ রাখার পরেও ওইদিন দিবাগত রাতে সামছুলের ছেলে শুভ মোল্লার নেতৃত্বে তাদের ভাড়াটিয়া লোকজনে আমাদের রড ও সিমেন্ট লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় তাদের বাঁধা প্রদান করায় হামলা চালিয়ে সাতজনকে আহত করা হয়। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আমরা সামছুল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, সামছুল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা সত্বেও রহস্যজনক কারনে অভিযোগের কোন তদন্ত না করেই হামলাকারীদের সাথে আপোস করার প্রস্তাব দিয়েছেন থানার ওসি ইউনুস মিয়া। হামলাকারীদের পক্ষে ওসির এমন প্রস্তাবে আমরা চরম বিব্রত। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শুভ মোল্লার ব্যবহৃত মোবাইল (০১৫১১-১২৪০১২) নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিবাদীর সাথে আপোসের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, আমাদের সালিশ করার কোন এখতিয়ার নেই। তবে উভয়পক্ষ বিষয়টি নিয়ে বসার কথা বলেছে বিধায় তাদের সময় দেওয়া হয়েছে।