আশাশুনিতে সাবেক মেম্বারের বিরুদ্ধে জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ

এফএনএস (জি.এম. মুজিবুর রহমান; আশাশুনি, সাতক্ষীরা) : | প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
আশাশুনিতে সাবেক মেম্বারের বিরুদ্ধে জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ

আশাশুনি উপজেলার লাঙ্গলদাড়িয়ায় সাবেক মেম্বারের বিরুদ্ধে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধের জমি দখল ও অন্যের পৈত্রিক জমির মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের আবু সাদেক মল্লিকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।  বাদী জানান, লাঙ্গলদাড়িয়া মৌজায় ৯০৭ নং খতিয়ানে ৬৩৪, ৬৩৫ ও ৭১০ দাগে আমার পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত ১.৫৪ শতক জমিতে দীর্ঘদিন ধরে আমি মৎস্য চাষ করে আসছি। বছরের শুরুতে মৎস্য ঘের শুকিয়ে পূণরায় চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরমধ্যে রোববার সকাল ১০টার দিকে বালিয়াখালি গ্রামের সাবেক মেম্বার গোলাম বারী লোকজন নিয়ে ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে জবর দখল করতে থাকে। বিষয়টি আশাশুনি থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জবরদখলকারীদের নিবৃত করেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরপরই তারা আবার ঘেরটি জবর দখল করে নেবে বলে আস্ফালন করছে।  এদিকে গোলাম বারীর বিরুদ্ধে অন্যের জমি অন্যায়ভাবে জবর দখলের অভিযোগ করেছেন রাধারআটি মৃত ওয়াজেদ মল্লিকের ছেলে দৃষ্টিহীন ডাঃ আব্দুস ছাত্তার। তিনি বলেন ৫ আগষ্টের একদিন পর গোলাম বারী জোর করে আমার ৭১ শতকের মৎস্য ঘেরটির বাসা ভাংচুর ও বেড়িবাঁধ কেটে তছনছ করে আমাকে বেদখল করে দিয়েছে। আমি দৃষ্টিহীন বিধায় জমি উদ্ধার করতে পারছিনা। ওই গ্রামের আলী মাহমুদ সানার ছেলে রবিউল ইসলাম জানান, গত ৭ আগষ্ট গোলাম বারী লোকজন নিয়ে ৭৭ খতিয়ানের ২৫৯ দাগে আমার ৭৪ শতক জমির মৎস্য ঘের জবর দখল করে নিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে শালিস বৈঠকে সে পরাস্ত হলেও জমি ছাড়ছে না। মেম্বারের বিরুদ্ধে আরো ঘের দখলের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী এসআই রশীদুজ্জামান বলেন, জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিপক্ষের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।  এ ব্যাপারে গোলাম বারী বলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনের জমি ২০২১ সালে আমাকে ৫ বছরের ডিড দিয়ে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬০০ টাকা গ্রহণ করে। এরপর টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা লাকির মাধ্যমে আবার ওর জমি নিয়ে নেয়। দৃষ্টিহীন আব্দুস ছাত্তারের জমির ডিসিআর আমার নামে। রবিউল ইসলামের জমি আমি নেইনি মালেক প্রফেসর নিয়েছেন। ৫ আগস্টের আগে তারা জোর করে খেয়েছে এখন আমি আমার প্রাপ্য বুঝে নিচ্ছি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে