গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) : | প্রকাশ: ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনের সদররোডে বুধবার বেলা ১২ টার দিকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালীন অনুষ্ঠিত সভায় গণঅধিকার পরিষদের মহানগর সভাপতি মো. গোলাম কিবরিয়া সিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাসেল। মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ফরহাদের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সভাপতি মো. শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন আকাশ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা তার প্রভু রাষ্ট্র ভারতে পালিয়ে গিয়েও অডিও রেকর্ড প্রকাশের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে একের পর এক উস্কানি প্রদান করছে। যেকারণে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে গুপ্ত হামলা, ঝটিকা মিছিল ও কথিত গণসংযোগ করেছে। বক্তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সহস্রাধিক মানুষ হত্যা, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করা, রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লেলিয়ে চালানো ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার সঠিক বিচারের দাবি করেন। এসময় তারা পাঁচদফার দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল-জুলাই, আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিগত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। জুলাই গণহত্যায় জড়িত বিদেশে পলাতক গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাসহ সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় গণহত্যার সাথে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ফ্যাসিবাদের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থ পাচারে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা। জন-আকাঙ্খার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কার্যকর সংস্কার নিশ্চিতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা। মানববন্ধন ও সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঁচ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।