ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের বোড়ামারা সাবাসপুর মাঠে কৃষকের আবাদকৃত ৭ বিঘা জমির পেঁয়াজের চারা ঘাস মারা ওষুধ দিয়ে মেরে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। জানা গেছে উপজেলার বোরামারা সাবাসপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম, খোকন বিশ্বাস, বাবুল বিশ্বাস, শাহিন বিশ্বাস, আব্দুল বিশ্বাস, আমিরুল বিশ্বাস তাদের জমিতে এবছর পেঁয়াজ চাষ করেছিল। পেঁয়াজের জমিতে পানি দেওয়ার এক সপ্তাহ পরে (আজ)বৃহস্পতিবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখে জমির পেঁয়াজের চারা লাইন ধরে মরে যাচ্ছে। তারা ধারনা করেছে গ্রাম্য রাজনৈতিক কারনে দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে তাদের আবাদকৃত জমিতে ঘাসমারা ওষুধ দিয়ে প্রায় ৭ বিঘা জমির আবাদকৃত পেঁয়াজের চারা মেরে দিয়েছে। এদিকে আবাদ করা জমির পেঁয়াজ মরে যাওয়ার কারণে তারা হতাশায় ভুগছেন।এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষী আমিরুল বিশ্বাস জানান , শত্রুতা করে একটি কুচক্রি মহল রাতের আঁধারে আমাদের লাগানো জমির পেঁয়াজ ঘাস মারা ওষুধ দিয়ে মেরে দিয়েছে। আমি এনজিও ও এলাকার দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুদে করে টাকা নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম এখন তাদের টাকা কিভাবে শোধ করব।পেঁয়াজ চাষী খোকন জানান আমার আবাদ কৃত পাঁচ বিঘা জমিতে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। শত্রুতা করে আমার আবাদকৃত পেঁয়াজ মেরে দিল ঘাস মারা ওষুধ দিয়ে দুর্বৃত্তরা। আরেক কৃষক নজরুল ইসলাম জানান দুর্বৃত্তরা ওষুধ দিয়ে আমাদের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার পেঁয়াজের ক্ষতি করেছে। আমি শৈলকুপা থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আরিফুজ্জামান তুষার জানান আবাদকৃত জমির পেঁয়াজে ঘাসমারা ওষুধ দেওয়ার কারনে পেঁয়াজের চারার শিকড় পচেঁ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে ফসলের সাথে এরকম শত্রুতা যারা করেছে তারা ঠিক করেনি। এরা দেশের শত্রু। এ ব্যাপারে শলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম খান জানান বুড়ামারা সাবাসপুর মাঠে পেঁয়াজের জমিতে ঘাস মারা ওষুধ দিয়ে আবাদকৃত পেঁয়াজের ক্ষেত ক্ষতি করার কারণে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।