মহেশপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করছেন দুইজন ব্যক্তি। শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামফলক ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে রাক ৮ টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ছবি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন তারা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে প্রধমে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। পরে তারা হাসপাতাল রোড এলাকায় অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের আরো একটি ম্যুরাল ভেঙে ফেলেন।শিক্ষার্থীরা জানান, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিস্ট ও পতিত আওয়ামীলীগের কোনো স্মৃতিচিহ্ন বাংলার মাটিতে থাকতে পারে না। এদেশে স্বৈরাচার হাসিনা পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিলেন। তাই দেশের বড় বড় স্থাপনায় নিজের পরিবারের নাম জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ কারণে আজ বাংলাদেশের প্রথম ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল তারা ভেঙ্গে দিয়েছেন। এদিকে মহেশপুর থানার সামনে অবস্থিত আওয়ামলীগের উপজেলা অফিস ও শেখ হাসিনার নামফলকও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা বলে খবর পাওয়া গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক নাহিদ হাসান বলেন,শেখ হাসিনার উস্কানি মূলক বক্তব্যের কারণে তার ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের এ কর্মসূচি। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটি সদস্য মেহেদী মিরাজ,ইমামুল হোসেন, উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সম্রাট, উজ্জ্বল হোসেন, হালিম বাদশাহ, তরিকুল ইসলাম।