খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি ইউপি প্যানেল ও দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ আলী বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ করায় চেয়ারম্যান অভিযোগ প্রত্যাহারে হুমকি দিচ্ছে বলে জানান অভিযোগকারীরা। উপজেলা নির্বাহা অফিসার(ইউএনও) অফিসে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে স্থানীয়দের তথ্যমতে ২নং কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ আলী, ২নং ওয়ার্ড সদস্য রবিউল ইসলাম, ৩নং অজিয়ার রহমান ও ৪নং রবীন্দ্রনাথ অধিকারীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। চেয়ারম্যান এলাকার মসজিদ সংস্কার, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ও কাবিখা প্রকল্পের আওতায় খাল খনন বাবদ ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স এর টাকা আত্মসাৎ, হাউলী খাল, গেটের খাল পুনঃসংস্কার বাবদ ৫,০০০০০ টাকা ও হাউলী গেট হইতে হাড়িয়া নদী পর্যন্ত ০৪ মেঃ টন গম, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কাবিখা প্রকল্প বাবদ নদী খননের জন্য ও নাবার ওয়াপদা কালভার্ট হইতে নাবার খাল অভিমুখে পুনঃখনন বাবদ ৫,৬০০০০ টাকা চেয়ারম্যান সহ তিন ইউপি সদস্য উক্ত প্রকল্পের কোন কাজ করেন নাই। ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ টাকা ও গম আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান। ইহা ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর হইতে দুর্নীতিপরায়ন সদস্যদের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রকল্পের নামে ও বেনামে টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন। গত বছর ২৭ নভেম্বর প্রতাপকাটি দঃ পাড়া জামে মসজিদ সংস্কার ও হাউলী পূর্বপাড়া জামে মসজিদ বাবদ ৫১০০০ টাকা ইউপি সচিবের নিকট হইতে স্বাক্ষর করিয়ে গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী। মসজিদ কমিটির সভাপতি সম্পাদক জানান তাহারা আদৌও কোন টাকা পান নাই। গত বছর ৭ ডিসেম্বর ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের টাকা হইতে ১,২৫০০০ টাকা সচিব নিকট থেকে স্বাক্ষর করে নিয়ে আত্মসাং করেন। বিগত চেয়ারম্যানের আমলে কপিলমুনি অগ্রণী ব্যাংকে থাকা ২ লক্ষ টাকা উঠাইয়া নিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান। সরকার প্রদত্ত প্রায় ৬০টি পানির ট্যাংকি ৪/৫ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রদান করার অভিযোগ করা হয়েছে। এ চেয়ারম্যান কপিলমুনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর খুবই নিকটতম ব্যক্তি থাকায় তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইত না। অভিযোগকারী আব্দুর রহমান বলেন, শুক্রবার চেয়ারম্যান এসে নামাজ শেষে মসজিদের সামনে হুমকি দেন। জাকির হোসেন খান জানান, ইউনুছ মেম্বার হুমকি দিয়ে বলেন ইউএনও সাহেব বলছেন নাকি যারা অভিযোগ করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে। ভয়ভীতি অব্যাহত রাখছে। প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনু আলী বলেন, তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে তবে জিডি বা মামলা করেননি, করবেন। কোন হুমকি বা ভয়ভীতি দেখানো হয়ইনি বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বাহিরে থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম বলেন স্যার আসলে এ বিষয় বলতে পারবেন।