সিরাজদিখানে সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধনের পর থানা ভাঙচুরের ঘটনার পরদিন নিখোঁজ স্কুলছাত্রের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শ্রীনগরের ছয়গাঁও এলাকায় পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সকাল ১০টার দিকে আসামি সিয়ামের বাড়ির পাশে বিকট গন্ধ পেয়ে জড়ো হন শত শত এলাকাবাসী। পরে লাশের অস্তিত্ব টের পেয়ে অভিযুক্তের বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। একপর্যায়ে র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ২৩ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া শ্রীনগরের বেলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ও অটোরিকশা চালক রোমান শেখের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি সিমেন্টের খুঁটি ও ইটের সাথে বেঁধে পুকুরে কচুরির পানার নিচে ফেলে রাখা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ১২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের সন্ধান ও সকল আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী ও স্বজন সিরাজদিখান থানায় হামলা করে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ স্বজন ও সহপাঠীরা। সহকারি পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আ ন ম ইমরান খান মরদেহ উদ্ধার নিশ্চিত করে বলেন, গত ২১ জানুয়ারি স্কুল ছাত্র রোমান শেখ বাসা থেকে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি ৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন নিহত রোমানের পিতা মিরাজ শেখ। পুলিশ এ ঘটনায় সিয়ামসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় অটোরিকশাটি। তবে আসামিরা পুলিশকে রোমানের বিষয়ে কোন তথ্য দেয়নি। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের সন্ধানের দাবিতে সিরাজদিখান থানায় হামলা করে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ স্বজন ও সহপাঠীরা। নিহত রোমান শেখ সিরাজদিখান উপজেলার থৈরগাঁও গ্রামের মিরাজ শেখের ছেলে। মামলার প্রধান আসামি সিয়াম ওরফে জিহাদ (১৯) শ্রীনগরের ছয়গাঁও এলাকার রফিক ফকিরের ছেলে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতন মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।