রামচন্দ্রপুরে তিন খুনের নেপথ্যে কী ?

একই স্থানে পাঁচজনকে হত্যার ২২ বছর পরে আবার ৩ হত্যা

এফএনএস (টিপু সুলতান,কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ) :
| আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম | প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম
একই স্থানে পাঁচজনকে হত্যার ২২ বছর পরে আবার ৩ হত্যা

বিগত ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকারের ছত্রছায় দলীয় পদ দখল করে একটি বাওড়ের কোটি টাকার মাছ দখলদারিত্ব নিয়ে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপারের ধারণা। পুলিশের দাবি, ওই এলাকায় পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, সর্বহারা পার্টি বা জাসদ গণবাহিনীর অস্তিত্ব নেই।এতদিন অন্য দলের সঙ্গে মিশে থাকলেও ৫ আগস্টের পর কোনো কোনো গ্রুপ আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। আর সেখানে আধিপত্যের প্রশ্নে তিনজনকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা হরিণাকুন্ড উপজেলার কায়েতপাড়া বাওড় নিয়ন্ত্রণ করতেন। ওই বাওড়ের জেলেদের কাছ থেকে প্রতি বছর কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা চাঁদা উঠত। ৮ বছর আগে ওই হাওড়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল নিহত হানিফের নেতৃত্বে তার বাহিনী সহদর ভাই।এলাকায় আবার ওপুর্বের ন্যায় চরমপান্থি আতংক হয়ে পড়ছে সাধারন মানুষ।নিহত হানিফ হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের রাহাজ উদ্দীনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। আরেকজন হলেন তার শ্যালক একই উপজেলার  শ্রীরামপুর গ্রামের উম্মাদ আলীর ছেলে লিটন। অন্যজন হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিয়ারপুরের রায়সুল ইসলাম। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

শৈলকুপা থানার ডিউটি অফিসার সাব ইন্সপেক্টর সম্রাট জানান, হত্যার ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত আইন শৃংখলা বাহিনি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি এবং কোনো মামলা হয়নি। তিন জনের লাশ যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই একই স্থানে ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর পাঁচজনকে ব্রাশ ফায়ার ও জবাই করে হত্যা করা হয়।হানিফ হাসিনা সরকারের আমলে মৎস্যজীবীলীগের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন ও তার লোকজন নিয়ে কয়েতপাড়া বাওড়ের নিয়ন্ত্রণ নেন।৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর হানিফ অন্য একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। পূর্ব বাংলার কমিনিস্ট পার্টির একটি শাখা জনযুদ্ধ। এই শাখার সামরিক কমান্ডার ছিলেন হানিফ। ৯০-এর দশকে হরিণাকুন্ডু,ঝিনাইদহ সদর, চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে হরিনাকুন্ডুর নারানকান্দি বাওড় দখল করে মাছ চাষ করছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি জেল থেকে বের হন। ২০১৭ সালে ওই বাওড়ের মৎসজীবী সমিতির সভাপতি জিয়াউল হককে গুলি করে হত্যা করে বাওড়ের দখল নেন হানিফ। নিহত হানিফের এক ভাই হরিণাকুন্ডু উপজেলার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। অপর ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বলেও জানান এলাকাবাসী।

১৯৯০ সালে  ঝিনাইদহ এলাকায় চরমপন্থিদের গোপন সংগঠনের ব্যাপক প্রভাব ছিল। তারা সর্বহারা পার্টি, পূর্ববাংলার  কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পাটি, জাসদ গণবাহিনী নামে সক্রিয় ছিল। পরবর্তী সময়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দে অনেকই খুন হন, কেউ গ্রেফতার হন আবার অনেকেই ক্রমফায়ারে নিহত হয়, কেউবা দেশে বিদেশে আত্মগোপনে চলে যান। নিহত হানিফ ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল জিয়াউর রাহমান জিয়া নামে আরেকজনকে হত্যা করে বাওড়ের নিয়ন্ত্রণ নেয়। মৎস্যজীবী সমিতির নামে বাওড় নিয়স্ত্রণ করা হলে তার আন্ডার গ্র্উান্ড পার্টিরই সদস্য ছিলেন। ১০৮ হেক্টরের ওই বাওড় ওই এলাকার মৎস্য ভান্ডার নামে পরিচিত। বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয় ওই বাওড় থেকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নানা চাপের মুখে এলাকায় শিমূলের নেতত্বে পুর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি টিকে ছিল। গত বছর ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হন ভারতে। ওই হত্যকান্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসাবে শিমুলকে তখন গ্রেফতার করা হয়। নিহত হানিফ তার সামরিক কমান্ডার ছিল। আর কালু তার প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্য হলেও দীর্ঘদিন ধরে দেশে ছিলেন না। দেশে ফিরে এসেই এক সাথে ৩ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আবার ও এলাকায় তার নাম জাহির করে নেয়। হানিফের আত্মীয় জাহিদুল ইসলাম,নিহত হানিফের ভাই সজেদুল ইসলাম ঈশা আগে হরিণাকুন্ড উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। নিহত হানিফ বাওড়েই ব্যবসা করতেন। তিনি ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে প্রকাশ্যেই ছিলেন। মৎস্যজীবীলীগের সঙ্গে যুক্ত থেকে সক্রিয ভাবে দল করতেন।

একসঙ্গে এতো জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চরমপন্থিদের আতঙ্ক।নিহতরা হলেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আহাদনগর ড়ুভপসা রাহাজ উদ্দিনের ছেলে মো। হানিফ, তার শ্যালক ও শ্রীরামপুর গ্রামের উম্বাদ আলীর ছেলে লিটন এবং কুষ্টিয়া ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম। তারা সবাই জনযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।নিহত হানিফের ভাই সাজেদুল ইসলাম ইশা বলেন, আমার মেজো ভাই হানিফ। শুক্রবার আমি চুয়াডাঙ্গা পার্কে গিয়েছিলাম। বাসায় আসার পর ভাবি বলেন, তোমার ভাইয়ের নম্বরে কল যাচ্ছে কিন্তু রিসিভ করছে না। ভাইয়ের শ্যালকের নম্বরে কল দিলেও কেউ কল রিসিভ করেনি। পরে আমিও অনেকবার কল দিয়েছি রিসিভ হয়নি।” 

ভাবি জানান, একটা ফোন এলো তারপর বাজার থেকে আসার কথা বলে বের হয়েছে। আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভাই বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর প্রশাসনের মাধ্যমে খবর পায় সে গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে। 

শনিবার ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, হানিফ নিষিদ্ধ পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ  ১৫টি মামলা ছিল। হানিফ হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলা মৃত্যুদন্ডপ্র্তা আসামি ছিলেন।শেখ হাসিনা সরকারের সময় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে জামিনে মুক্ত হন হানিফ। বিগত সরকারের সময় হানিফ আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। তিনি আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী লীগের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলে হানিফ রাজনৈতিক দল পরিবর্তনের চেষ্টা শুরু করেন। হানিফ কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান, তিওরবিলা গ্রামের লুৎফর রহমান, তাহেরহুদার আব্দুল কাদের ও পোলতাডাঙ্গার ইজাল মাষ্টারসহ অনেককেই গুলি ও গলাকেটে হত্যা করেন।পূর্ব বাংলার কমিনিস্ট পার্টির একটি শাখা জনযুদ্ধ। এই শাখার সামরিক কমান্ডার ছিলেন হানিফ। ৯০-এর দশকে হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ সদর, চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন তিনি। গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে হড়িনাকুন্ডুর নারানকান্দি এলাকায় বাওড় দখল করে মাছ চাষ করছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে তিনি জেল থেকে বের হন। ২০১৭ সালে ওই বাওড়ের মৎসজীবী সমিতির সভাপতি জিয়াউল হককে গুলি করে হত্যা করে বাওড়ের দখল নেন হানিফ। অনেকের ধারনা ১৫ বছর আগের রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাটের জাসদ গণবাহিনীর ৫ কর্মীকে গুলি ও জবাই করে হত্যার প্রতিশোধ বা নতুন করে রামরাজত্য দখলের চেষ্টা করছে। এ কারনে এখন ৩ জন কে গুলি করে হত্যা করলে। কেননা এরই মধ্যে কুষ্টিয়া এলাকার জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু দায় স্বীকার করে একটি ক্ষুদে বার্তা দিয়েছেন সংবাদকর্মীদের।হানিফ ও লিটনের মরদেহের পাশে ছিল দুটি পালসার মটোর সাইকেল ও প্রত্যেকের মাথায় ছিল হেলমেট। মাথায় ও বুকে ছিল গুলির আঘাত।এদিকে হত্যাকান্ডের আগে নিহতদের সবার মোবাইলে কল করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও তাদের পরিবারের সদস্যরা বলতে পারেনি কারা তাদের মোবাইলে কল দিয়েছিল।

রামচন্দ্রপুর শ্মশান ঘাটে রাতেই শর্টগানের ৭ রাউন্ড ও পিস্তলের ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে এবং পাশে দুটি মোটর সাইকেল, দুটি হেলমেট, একটি বস্তা ও একটি বাজারের ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ।তিন হত্যার নেপথ্যে রয়েছে পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গার, আলমডাঙ্গার, কায়েতপাড়া, বাঁওড়। বাওড়টিতে প্রতি বছর কোটি টাকার ওপরে মাছের চাষ হয়। মৎস্যজীব লীগ নেতা পরিচয়ে হানিফ বাওড়ে মাছ ধরা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে এলাকার একাধিক গ্রুপের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। কায়েতপাড়া এই বাঁওড়টি নিয়ে গত ৩০ বছরে অর্ধশত মানুষ খুনের শিকার হয়েছে। এলাকাবাসীর মতে, চরমপন্থি নেতা হানিফ ইতোপূর্বে কুলবাড়িয়া গ্রামের আবদুর রহমান, তিওরবিলা গ্রামের লুৎফর রহমান, তাহেরহুদার গ্রামের আবদুল কাদের ও পোলতাডাঙ্গার ইজাল মাস্টারসহ প্রায় ১০ জনকে গুলি ও গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। ইজাল মাস্টারকে হত্যার পর তার মাথা কেটে ফুটবল খেলেছিল হানিফ। সে সময় বিষয়টি দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। 

একই স্থানে ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর শৈলকুপার শেখপাড়া গ্রামের শহীদ খাঁ, ত্রিবেনী গ্রামের শাহনেওয়াজ, একই গ্রামের ফারুক, নুরু কানা ও কুষ্টিয়ার ভবানীপুর গ্রামের কটাকে গুলি ও গলা কেটে হত্যা করে চরমপন্থিরা। এই মামলায় ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার আলী রেজা ওরফে কালু ও কুষ্টিয়ার ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের মহসিন আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। ঝিনাইদহ জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোঃ জাকারিয়াহ এই দন্ডাদেশ দেন। রাইসুলের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবার নাম আরজেদ আলী ও মায়ের নাম রেহেনা পারভিন। ঠিকানা সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রাম। তবে তাঁর বাবার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মানিকদিয়াড় গ্রামে। মাত্র আড়াই বছর বয়স থেকে পিয়ারপুর গ্রামে নানা ইব্রাহীম সরদারের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে চলে আসেন। সেখানে তাঁর বাবাও থাকতেন। দুই মাস আগে তিনি মারা গেছেন।পিয়ারপুর গ্রামে রাইসুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা-নানিসহ স্বজনেরা আহাজারি করছেন। প্রতিবেশিরা তাঁদের সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নানা ই্রব্রাহীম হোসেন নির্বাক হয়ে বসে আছেন। পাশে বসে কেঁদেই যাচ্ছেন নানি কদ ভানু।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাইসুলের মা রেহেনা পারভিন জানান, শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত রাইসুল বাড়িতেই ছিলেন। বিকাল ৫ টার দিকে তাঁর মুঠোফোনে কল আসে। রাইসুল ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তির উদ্দেশে বলেন, বড় ভাই আমি ৫ মিনিটের মধ্যে আসছি। এই বলে মোটর সাইকেল নিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাত নয়টার দিকে কল দিলে নম্বর বন্ধ পান।রাত সাড়ে তিনটার দিকে জানতে পারেন, বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে রামচন্দ্রপুর মাঠে ছেলের লাশ পড়ে আছে।রেহেনা পারভিনের একমাত্র ছেলে রাইসুল। রাইসুলের বয়স যখন আড়াই বছর, তখন তাঁর স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। বাবার বাড়িতে এসে থাকা শুরু করেন। গ্রামের স্কুলে পড়ালেখা করিয়ে ছেলেকে ঝিনাইদহ কে সি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ান। এরপর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে পদাথর্ বিজ্ঞানে স্নাতক পাস করান। বাড়িতেই থাকতেন ছেলে। কোনো চাকরি বা ব্যবসা করতেন না। 

দৌলতপুর থেকে তাঁর বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে ৯ লাখ টাকা পান। সেই টাকার মধ্যে ৭ লাখ টাকা স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিকে দেন। সেই টাকা ফেরত নিয়ে কিছু ঝামেলা চলছিল।নিহত রাইসুলের খালাতো বোন সালমা সামাদ একটি বেসরকারি কলেজের প্রভাষক। সে কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তবে এলাকার কিছু খারাপ প্রকৃতির মানুষের সঙ্গে টাকা দেওয়া ও ফেরত নেওয়া নিয়ে ঝামেলা চলছিল।এসবি সূত্র বলছে, রাইসুলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনো মামলা বা অভিযোগ নেই। ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি)মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ বলেন,কালু নামে চরমপন্থি দলের একজন নেতার নাম এই এলাকায় শোনা যায়। তার নামে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে জাসদ গণবাহিনীর সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে এই এলাকায় চরমপন্থি দলের সদস্যদের উপস্থিতির ব্যাপারে পুলিশ  এখনও নিশ্চিত নয়। কালু ভারতে পলাতক ছিলেন, সে দেশে ফিরে এসেছে কী না আমরা নিশ্চিত নই।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে