মায়ের সাথে দেখা করতে এসে নানার হাত ধরে মহাসড়ক পারাপারের সময় ইয়াসিন সিকদার (১০) নামের এক শিশু মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এসময় নিহত শিশুর নানা মজিবর রহমান (৬০) গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি আটক করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আগুন দেওয়ার আগেই বাসের সবাই নিরাপদে নেমে যাওয়ায় অগ্নিকান্ডে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আটটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে। নিহত শিশু ইয়াসিন আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের মিশ্রিপাড়া এলাকার মো. সুমনের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত তিনদিন আগে বাটাজোর এলাকার এক যুবকের সাথে পিতৃহারা শিশু ইয়াসিনের মায়ের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার রাতে নানা মজিবর রহমান নাতী ইয়াসিনকে তার মায়ের সাথে দেখা করাতে নিয়ে যায়। তবে মায়ের সাথে দেখা করার আগেই বাস চাঁপায় শিশু ইয়াসিনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানিয়েছেন, মাহেন্দ্রা থেকে নেমে নানার হাতধরে রাস্তা পারপারের সময় বরিশালগামী হাওলাদার নামের একটি লোকাল বাস শিশু ইয়াসিনকে চাঁপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় এবং তার নানা গুরুত্বর আহত হয়।
অপরদিকে একইদিন রাত পৌনে নয়টার দিকে মহাসড়কের দক্ষিণ বাটাজোর এলাকায় কিংস পরিবহনের একটি বাসের সাথে পিকআপ ভ্যানের মুখোমূখি সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান জানান, গুরুত্বর আহত মজিবর রহমানকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পৃথক দূর্ঘটনা কবলিত যানবাহন আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।