অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। বিশেষ করে ছাত্র উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষায় বাকি দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদেরও পদত্যাগ করা উচিত বলে মত দিয়েছেন দলটির নেতারা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চ পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান এবং গণমাধ্যম সম্পাদক আবু হানিফ।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান বলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনজন ছাত্র উপদেষ্টা ছিলেন। তাদের একজন পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলের প্রধান হয়েছেন। এতে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সুতরাং, বাকিদেরও নৈতিকতা বজায় রেখে পদত্যাগ করা উচিত।"
তিনি আরও বলেন, "সরকারের সব দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধিদের অবস্থান সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী। তাই সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে তাদের সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে।"
গণঅধিকার পরিষদ দাবি করেছে, হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। পাশাপাশি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন বাতিল করে ‘ডামি-আমি’ এমপিদের সম্পদ জব্দ করার দাবিও জানিয়েছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, ঢাকা ওয়াসার আউটসোর্সিং নিয়োগসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে অনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, যদি ১৫ দিনের মধ্যে ছাত্র উপদেষ্টারা পদত্যাগ না করেন, তবে গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তিকে একত্রিত করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে যমুনা ঘেরাও কর্মসূচিও নেওয়া হবে।
গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি। তাই প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের দাবি জানিয়েছে তারা।