গাজায় বর্বর হামলায় দুই দিনে ঝরলো ৯৭০ প্রাণ

এফএনএস অনলাইন: : | প্রকাশ: ২০ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩১ এএম
গাজায় বর্বর হামলায় দুই দিনে ঝরলো ৯৭০ প্রাণ

গাজায় যুদ্ধ বিরতির কথা থাকলেও সে কথা রাখেলি ইসরায়েল। তারা বিভিন্ন ভাবে আবারও বর্বর হামলা চলমান রাখছে। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন গাজায়। জানা গেছে, সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় ৪৮ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৯৭০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। 

বুধবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৯৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে প্রাণহানির সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫৭৭ জনে পৌঁছায়। এরপর বুধবার দুপুরের দিকে এই সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৫৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে সোমবার রাত থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই ভঙ্গুর চুক্তির পর এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ইসরাইলি হামলা বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে, গাজায় নিযুক্ত জাতিসংঘের একটি ভবনে বুধবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় সেখানে সংস্থাটির অন্তত একজন বিদেশি কর্মী নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

এর আগে কয়েক মাসের আলোচনার পর মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ চুক্তির আওতায় ৩৮ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রাথমিক এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাতারের দোহায় বিবদমান পক্ষের সঙ্গে কাতার ও মিসরের আলোচনা চলছিল। সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার রাতের হামলার পর যুদ্ধবিরতির আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে।

দেড় মাস ধরে আলোচনা চললেও যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইসরায়েল রাজি হচ্ছিল না। ইসরায়েল ও তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছিল, প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়িয়ে গাজায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হোক।

কিন্তু হামাস বলে আসছিল, মূল চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে হবে। এর আওতায় ইসরায়েলি সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। এর পরই বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দেবে তারা।

হামাস এখনো মূল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে চায় বলে গতকাল জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র আবদেল লতিফ। তিনি রয়টার্সকে বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে এখনো তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। এখনো তাঁরা মূল চুক্তি পুরোপুরি কার্যকরের পক্ষে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে এমন নৃশংস হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW