ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হওয়া পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিনের ১৭ বছর বয়সী কন্যা কে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের আরো একজন কে পিরোজপুর জেলা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এনিয়ে দুইজন কে গ্রফতার করা হলো। পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ সাংবাদিকদের জানান, আজ শুক্রবার ভোর রাতে নাজিরপুর থানা সদর থেকে পটুয়াখালী ডিবি পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। পরে সেখানে একটি বাসা থেকে ধর্ষন মামলার অন্যতম আসামি সিফাত মুন্সি কে করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যার পর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আলগী গ্রামে এই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আলগী গ্রামের মৃত মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি (১৭) এবং সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি (১৯)। এজাহার নামীয় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে। দুমকি থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। নির্যাতিত কে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুলিশ প্রহরায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পরপরই ২০ মার্চ বিকালে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি আহবায়ক নাহিদ ইসলাম পটুয়াখালী হাসপাতালে নির্যাতিতার পরিবারের সাথে সাক্ষাত করেন এবং রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মোবাইলে অডিও কলে ধর্ষিতার মায়ের সাথে কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ নির্যাতিত পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা এবং পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন। সবাই উভয় দলের জেলার নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন শহিদ জসিম উদ্দীনের মেয়ে তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথে নলদোয়ানী এলাকা থেকে সাকিব ও সিফাত তাকে অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মুখ চেপে ধরে পাশের জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানেই দুজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে এবং ঘটনার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। প্রসঙ্গত, ধর্ষিতার পিতা জসিম উদ্দিন বৈষম্য বিরোধী '২৪ এর আন্দোলনে ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২৯ জুলাই বক্ষব্যাধি হাসপাতালে মারা যান।।