জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ১২ দলীয় ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসার আগে সূচনা বক্তব্যেই বললেন,
“গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সুনির্দিষ্ট, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা নেই। কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়। সুনির্দিষ্ট জাতীয় সনদ তৈরি আমাদের মূল লক্ষ্য।”
ড. আলী রীয়াজ আরও যোগ করে বলেন,
“বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম আদর্শিক অবস্থান থেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমরা আশা করি, জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রশ্নে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকটা দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবেন। কারণ, আমরা সকলে মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন, বিনির্মাণের জন্য সকলেই সমবেত হয়েছি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে। নেতাকর্মীরা জাতীয় স্বার্থে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যেমন কথা বলবেন, আবার ছাড় দেয়ারও মানসিকতা থাকতে হবে।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন,
“জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রসর হওয়ার জন্য তা অত্যন্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এ নয় যে, সব বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনের প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান। এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ছাড়াও ১২ দলীয় জোটের ১১ নেতা এই সংলাপে অংশ নিয়েছেন।