বিএনপি নেতা ইদ্রিস মিয়াকে আহ্বায়ক ও লায়ন মো. হেলাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় বিগত ফেব্রুয়ারি মাসে। তিন মাস পর গতকাল মঙ্গলবার ৫৪ সদস্যে উন্নীত করে কেন্দ্র ওই কমিটি। তবে এবার কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সেই পাঁচ সদস্যের একজন। এই নিয়ে চলছে বিতর্ক। একইভাবে সাবেক আহ্বায়কসহ দক্ষিণ জেলার কয়েকজন সিনিয়র নেতারও স্থান হয়নি উক্ত কমিটিতে। অপরদিকে স্থান পাওয়া কয়েকজনের বিরুদ্ধে আছে নানা অভিযোগ। আবার দায়িত্বশীল নেতাদের অনেকে দাবি করছেন, তরুণ-প্রবীণের সমন্বয় করা হয়েছে কমিটিতে। আন্দোলন-সংগ্রামে যারা সক্রিয় ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। কমিটি ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে দক্ষিণ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। এতে আহ্বায়ক-সদস্য সচিব ছাড়াও একজন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, আটজন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ৪৩ জনকে সদস্য করা হয়। বিগত ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর আবু সুফিয়ানকে আহ্বায়ক এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি মোস্তাক আহমেদ খানকে সদস্য সচিব করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তারা। গতকাল অনুমোদিত কমিটিতে স্থান হয়নি আবু সুফিয়ানেরও।
এছাড়া দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ গাজী শাহজাহান জুয়েল ও সাবেক সাংসদ সরওয়াল জামাল নিজামেরও স্থান হয়নি। স্থান হয়নি বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, ১০ নং আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হামিদুল হক মন্নান ও পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী আবুল কালাম আবুর। ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ২৯ নম্বর সদস্য হয়েছেন রাজীব জাফর চৌধুরী। তার সদস্যপদ নিয়েও ফেইসবুকে চলছে নানা সমালোচনা। দাবি করা হচ্ছে, তারা প্রয়াত বাবা জাফর আহমদ চৌধুরী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা।
তিনি ২০১৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেন শেখ হাসিনা, যা গতকাল অনেকেই শেয়ার করছেন। তাছাড়া জাফর আহমদ চৌধুরী ২০০১ সালে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন। তার স্ত্রী হাসিনা জাফর ২০১৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম-৩১ সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। লায়ন মো. হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ছিল তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে কমিটি হওয়ার পর থেকে অনেকগুলো প্রোগ্রাম করেছি। সবগুলোতে লিয়াকত আলীকে দাওয়াত দিয়েছি, কিন্তু একটিতেও আসেননি। রাজিবের বাবা ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগ থেকে রিজাইন করেন। তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপির সাথে সম্পৃক্ততা থাকায় রাজীব বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের হয়রানির শিকার হয়েছেন।