ফুটপাত উদ্ধারে যখন বরিশাল সিটি করপোরেশন কঠোর অবস্থানে, ঠিক তখনই ফুটপাত দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। জনসাধারণের হাটার জন্য পাঁচ ফুট প্রস্থের ফুটপাত রয়েছে নগরীর বান্দ রোডস্থ লঞ্চঘাট এলাকায়। কিন্তু পাঁচ ফুট প্রস্থের ওই ফুটপাত দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে বিআইডব্লিউটিএ।
সূত্রমতে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওসার জলাবদ্ধতার নিরসন এবং ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। গত কয়েকদিনে নগরীর অধিকাংশ সড়কের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। যেকোন মূল্যে ফুটপাত দখলমুক্ত করার প্রত্যয়ে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। এরমধ্যেই নগরীর বান্দ রোডস্থ লঞ্চঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ অবৈধভাবে জনগনের চলাচলের ফুটপাত দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফুটপাতের নিচে থাকা ড্রেন মাটি ও বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র (প্রয়াত) শওকত হোসেন হিরণ স্টল উচ্ছেদ করে পাঁচ ফুট প্রস্থের ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করেছিলেন। ওইসময় বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চঘাটে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছিলো। সেই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে গত কয়েকদিন থেকে তারা নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। তবে পূর্বের জায়গায় না করে ফুটপাতের উপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে।
পথচারী আরিফ হোসেন বলেন, জনসাধারণের চলাচলের ফুটপাত সরকারের প্রতিষ্ঠান কিভাবে দখল করে। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফুটপাত দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় এখন মানুষ হাটবে কোথা থেকে। এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিত্বে সিটি করপোরেশনকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, ফুটপাত ফুটপাতের জায়গায় রয়েছে। পুরোনো সীমানা প্রাচীর যেখানে রয়েছে, সেটা ভেঙে নতুন করে প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। ফুটপাত দখলের প্রশ্নই আসে না। বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সার্ভেয়ার পাঠিয়ে খোঁজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।