বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বর্তমান অন্তরবর্তী সরকারকে কোন দল ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে না। যারা রাজনীতি চর্চা করে তাদের মধ্যে একটি থাকে একটি সরকারি দল, অপরটি হচ্ছে বিরোধী দল। সাইকেলের যেমন দুটি চাকা না থাকলে যেমন সাইকেল চলে না, ঠিক তেমনি সরকার ও বিরোধী দল না থাকলে রাষ্ট্র চলে না। সমালোচনা রাষ্ট্রের একটি সৌন্দার্য। শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামের সদস্য শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪। এই তিন সালে আমরা কোন ভোট দিতে পারিনি। ভোটারা এদিক দিয়ে ভোট কেন্দ্রে রওনা হয়েছে। মাঝ পথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ লীগ বাধা দিয়েছে ও ভোট হয়েছে এবার বাড়ি চলে যান। এইতো তিন বছরের ভোট। রাষ্ট্রের সবগুলো দপ্তর দুর্নিতীতে ভড়ে গেছে। গ্রামের ভাষায় একটি কথা আছে, সর্ব অঙ্গে ঘাঁ, ওষুধ লাগাবো কোথায়। তেমনি রাষ্ট্রের সর্ব অঙ্গ ক্ষত হয়ে গেছে, পঁচে গেছে এই ১৮ বছরে। জামায়াতে ইসলাম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, জামায়াতে ইসলাম একটি নির্বাচনমুখি দল, আমরা সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকি। কিন্তু আমাদেরতো নির্বাচনে যেতে দেওয়া হয়নি। সরকারতো জামায়াতে ইসলামকে ভয় পায়, আরো বেশি ভয় পায় নির্বাচনটা যদি নিরপেক্ষ হয়ে যায়, ভোট কাটা না যায়, তাহলেই জামায়াতের সুবিধা বেশি। আমরা পরিস্কার পানিতে মাছ শিকার করতে ভালো পারি। নির্বাচনে আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে, ভোটারদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ময়দানে যারা ছিল, জাতীয় স্বার্থে যদি জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠে তাহলে যেকোন রাজনৈতিক ইসলামিক দলের সাথে ঐক্য করতে প্রস্তুত আছি। তিনি আরও বলেন, বিপ্লবের পরেই বর্তমান সরকারের সামনে অনেক গুরো চ্যালেঞ্জ এসেছে। পাল্টা ক্লু, জুডিশিয়াল ক্লু, আনসার কান্ড, প্রশাসনের অস্থিরতা, হিন্দু ভাইদের নিয়ে রাজনীতি। শেখ হাসিনা দিল্লি বসে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ সবই সরকার মোকাবেল করছে। এ গুলো সামনে আসলে সরকার হয়তো আরও অনেক কিছুই সংস্কারে তড়ান্বিত হতে পারতো। সরকার যা করছে তাতে আমরা হ্যাপী। জেলা আমীর আহসান হাবীব মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সেক্রেটারি, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও পরিচালক ঢাকা উত্তর অঞ্চল অধ্যক্ষ ইজ্জতুল্লাহ ও জামালপুর জেলার আমীর আব্দুস সাত্তার।