বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গোপালগঞ্জের কোটালিপড়া উপজেলার সিমান্তে কালর্ভটের মুখ বন্ধকরে সরকারি খাল দখল করে পাঁকা ভবন নির্মান করছে রামশিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। খালদখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করাতে বাজার কমিটি ও স্থানিয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। স্থানীয়রা বিষয়টি দুই উপজেলার সহকারি কমিশনার ভূমিকে জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া ও কোটালিপড়া উপজেলার সিমান্তে কালর্ভটের মুখ বন্ধকরে সরকারি খাল দখল করে পাঁকা ভবন নির্মান করছে রামশিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাপোলো তালুকদার। সে রামশিল গ্রামের লাল মোহন তালুকদারে ছেলে। অ্যাপোলো বিএনপির নেতা ও স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়াতে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে ভয়পাচ্ছে।
কালভার্টের সামনে পাকা ভবন নির্মান করাতে জমির পনি ও উপজেলার রাজিহার-বাটরা রামশিল খালের পানি প্রবাহের বাঁধা হবে। বিষয়টি দুই উপজেলার সহকারি কমিশনার ভূমিকে জানানো হয়েছে।
ওই বাটরা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রাজিহার ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন-আহবায়ক পরিতোষ রায় বলেন, পানি চলাচল বন্ধকরে সরকারি খালে ভিতরে পাকা ভবন তৈরিকরা ঠিক হচ্ছেনা। এটা বেআইনি। অ্যাপোলো তালুকদার দলিয় প্রভাব খাঁটিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন।
এবিষয়ে নির্মাণকাজের মিস্ত্রী বাটরা গ্রামের গৌরঙ্গ বৈষ্ণবের ছেলে নিখিল বৈষ্ণব বলেন, খালে ভিতরে পাকা ভবনকরা ঠিকনা এতে পানি চলাচল ও ইরিবোর মৌসুমে পানি সেচের সমস্যা হবে। বর্ষার পানি নামতে না পারলে মানুষ পানিতে ডুববে। আমার পেটের দায়ে কাজ করছি।
এব্যপারে রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মো.ইলিয়াস তালুকদার বলেন, খালের মধ্যে পাকা ঘর তোলা বেআইনি। ঘরতোলার কারনে পানি সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বোরো চাষের সময় খালে পানি থাকেনা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রামশীল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাপোলো তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, আমি কালভার্টের মুখে খালের ভিতরে পাকা ভবন নির্মাণ করছি একথা সত্য। ওই জায়গাটা কোটালিপাড়া ও আগৈলঝাড়ার সীমান্ত।
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি উম্মে ইমামা বানিন জানান বিষয়টি আমি স্থানীয়দের মাধ্যমে জাতেপেয়ে ঘটনাস্থলে লোকপাঠিয়েছি তদন্তের জন্য। এরপরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কোটালিপাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মো.মাসুম বিল্লা সাংবাদিকদের বলেন, বিয়টি আমিও জেনেছি। দুই উপজেলার সিমান্তে হওয়াতে আমরা সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে খালের ভিতরে সরকারি সম্পত্তিতে পাকা ভবন করা বে-আইনি।