বেনাপোলে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার, রহস্য উদঘাটনে নেমেছে পুলিশ

এফএনএস (মহসিন মিলন; বেনাপোল, যশোর) : | প্রকাশ: ১৬ জুন, ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
বেনাপোলে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার, রহস্য উদঘাটনে নেমেছে পুলিশ

বেনাপোল পোর্ট থানার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের তিনদিনেও এর রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি থানা পুলিশ। এ নিয়ে হতাশা বাড়ছে পরিবার ও স্বজনদের। তবে রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে পিবিআই পুলিশের একাধিক টিম। 

এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড? না কি আত্মহত্যা- তা নিয়ে এলাকায় নানামুখী কথা প্রচার হচ্ছে। এ ঘটনার দ্রুত রহস্য উদঘাটনের জোর দাবি উঠেছে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। 

মৃত দম্পতি হলেন- বেনাপোল পোর্ট থানার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেজো ছেলে মনিরুজ্জামান (৫৫) ও তার

স্ত্রী রেহানা বেগম (৫০)। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৪ জুন) সকালে বেনাপোল পোর্ট থানার রঘুনাথপুর গ্রামের লোকজন মনিরুজ্জামানের মরদেহ বাড়ির উঠানের পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলন— অবস্থায় এবং তার স্ত্রীর মরদেহ বাড়ির পাশের একটি মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের উভয়ের শরীরে ক্ষতচিহ্ন ছিল। তাদেরকে টেনে হেঁচড়ে বাইরে আনা হয়েছে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া মনিরুজ্জামানের ঝুলন— মরদেহটি হাটু গেড়ে থাকা অবস্থায় ছিল। যা আত্মহত্যার মধ্যে পড়ে না বলেও মন—ব্য পুলিশ ও স্থানীয়দের। যে কারণে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড, নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে এলাকায় ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। তবে তদন— কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে বলে জানায় পুলিশ।

এদিকে স্থানীয়রা বলছে,  ওই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। যা আত্মহত্যা পর্যায়ে পড়ে না। তাদের দাবি পুলিশ এ ঘটনার দ্রুত রহস্য উদঘাটন করুক।

মৃত দম্পতির মেয়ে মনিরা ও ছেলে মাসুদের  দাবি, তাদের বাবা-মা আত্মহত্যা করেননি। তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা দ্রুত এর রহস্য উদঘাটন  এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত  করে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেছেন। তিনদিনেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, সীমান—বর্তী রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে মনিরুজ্জামান-রেহানা দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হত্যাকান্ড নাকি আত্মহত্যা এখনই তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদনে—র জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন— করছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই যশোরসহ আরও একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি অচিরেই এর রহস্য বেরিয়ে আসবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে