বরিশালের মুলাদীতে সাগর মাল (৩০) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত ঘর থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। দুই সন্তানের জনক সাগর মাল উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের মৃত শাহজাহান মালের ছেলে। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে সোমবার দুপুরের পরে নিজেদের পরিত্যাক্ত ঘরে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা পরিবারের সদস্যদের। এর আগে সাগর মালের মোবাইল নাম্বার থেকে তার বোন ও স্ত্রী মোবাইলে পাঠানো খুদে বার্তা (এসএমএস) লেখা ছিলো, ''আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমার জন্য দোয়া করবা।''
পরিবারের রোকজন ও মুলাদী থানা পুলিশ জানায়, সাগর মাল ঢাকায় চাকুরী করায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানে থাকেন। গত শনিবার ঢাকা থেকে গ্রামে বোন সখিনা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যান। সোমবার সকাল ১০টার দিকে সখিনা বেগমের বাড়ি থেকে বের হয়ে আরেক বোনের বাড়িতে রওয়ানা দেন সাগর। দুপুরের পরে সেই বাড়িতে না পৌঁছায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় স্বজনেরা তার খোঁজ শুরু করেন। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে তাদের পরিত্যাক্ত ঘরের আড়ার সঙ্গে সাগরের ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে সংবাদ দেন।
লাশ পাওয়ার পরে তার বোন সখিনা বেগম মোবাইল পরীক্ষা করে ভাইয়ের মোবাইল থেকে আসা এসএমএস দেখতে পান। পরে তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে একই এসএমএস পাঠানোর বিষয়টি জানতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার দুপুর ১২টার পরে স্ত্রী ও বোনকে এসএমএস পাঠিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন সাগর।
সখিনা বেগম জানান, তার ভাই সাগরের সঙ্গে কারও শত্রুতা কিংবা বিরোধ ছিলো না। স্ত্রী-সন্তান ঢাকা থাকলেও সে একা গ্রামে বেড়াতে আসে। সোমবার সকালে স্ত্রীর সঙ্গে কয়েকবার মোবাইল ফোনে কথা বলছিলো সাগর। পরে রাতে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় তার। সে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
মুলাদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিন উদ্দীন জানান, যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে লাশ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।