ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের হত্যাকারী এবং কালীগঞ্জ বিএনপি নেতা ইউনুছ আলী ও মোহাব্বত আলী বিশ্বাসের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শহরের সরকারী ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি কালী শহর প্রদক্ষিণ করে আবার সমাবেশস্থলে এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম রবি, উপজেলা বিএনপির সাাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহাবুবুর রহমান মিলন, সাবেক ছাত্রনেতা বাবলুর রহমান, বিএনপি নেতা আশরাফুজ্জামান লাল, মাজহারুল আনোয়ারুল ইসলাম প্রিন্স, নিহত দুই বিএনপি নেতার ভাই ইয়াকুব আলী বিশ্বাস, রায়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম রব্বানি, পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান লান্টু, ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আলীম, বিএনপি নেতা প্রভাষক এমএ মজিদ প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হামিদুল ইসরাম হামিদ বলেন, দির্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের সাথে সংগ্রাম করে পতন হয়েছে। তীব্র ছাত্রজনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনাসহ তার নেতাকর্মীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু তার দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। সমাবেশে কালীগঞ্জে দলীয় প্রতিপক্ষ অস্ত্রধারীদের হাতে খুনের স্বিকার ইউনুছ হোসেনের মেয়ে জমিলা খাতুন বলেন, কান্না কন্ঠে বলেন, আমার বাবাকে দলের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের করতে হবে। এসময় তিনি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও খুনিকে যেন মনোনয়ন দেওয়া না হয়।