দু'মাস আগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালীতে স্বামীর বাড়িতে এসেছেন আমিরিকা প্রবাসী (২৭) বছর বয়সী সুন্দরী আচ্ছা ওকে বাই নববধূ। সোমবার রাতের খাবার খেয়ে শিক্ষক স্বামীর সঙ্গে একই শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। আর পাশের রুমেই ঘুমিয়ে ছিলেন বড় বোন সহ ছোট দুই কন্যা সন্তান। হঠাৎই রাতের আধারে বসত প্রাচীরের গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে দলবদ্ধ ডাকাত দল।
এসময় ঘুমন্ত শিশুসহ একে একে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা ও মুখ বেধে নেওয়া হয় আলাদা কক্ষে। আর প্রবাসী সুন্দরী নববধূকে স্বামীর হাত,পা মুখ বেধে তার সামনেই করা হয় পাশবিক অত্যাচার।
এক এক করে চার জন মিলে ওই শয়ন কক্ষেই দলবদ্ধ ধর্ষণ শেষে ঘরে থাকা ১৩ ভরি স্বর্ণ সহ নগদ ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয় ডাকাত দল। এদিকে এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। সোমবার রাতেই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ প্রহারায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ওই নববধূকে। জানা গেছে আমেরিকান ওই নববধূর বাড়ি সিলেটে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ , জুয়েল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যেই মামলা নিয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে দুই জনকে আটক করেছে কলাপাড়া থানা পুলিশ। প্রকৃত দোষীদের ধরতেও চলছে অভিযান। এলাকাবাসী জানায়, গ্রেপ্তার আতঙ্কে বর্তমানে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে ওই এলাকা।
প্রসঙ্গত, কলাপাড়ায় পৌরশহর লাগোয়া টিয়াখালী ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম সুনানের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ৭-৮ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সবাই কে হাত-পা মুখ বেধে জিম্মি করে ১৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয়। রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দুই টা থেকে তিনটার মধ্যে এই ডাকাতি সংগঠিত হয়।
সুনান জানান, একতলা ভবনের বারান্দার গ্রীল কেটে ডাকাতদল ঘরের সবাই কে এক কক্ষে নিয়ে হাত-পা ও চোখ মুখ বেধে জিম্মি করে ফেলে। চাবি আলমারি ও সুকেস খুলে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। এসময় সুনানসহ তার আমেরিকা প্রবাসী স্ত্রী নিশাত তাবাসসুম কে মারধর লাঞ্ছিত করা হয় বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ সোমবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।