ভূঞাপুরে যমুনার পাড়ে চা দোকানে পাঠাগার

এফএনএস (সৈয়দ সরোয়ার সাদী রাজু; ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল) : | প্রকাশ: ২২ জুলাই, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
ভূঞাপুরে যমুনার পাড়ে চা দোকানে পাঠাগার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ছোট একটি চায়ের দোকানে পাঠাগার স্থাপন করে স্থানীয়দের অবাক করেছেন হতদরিদ্র চা বিক্রেতা সুজন মিয়া। তার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সুজনের এই চায়ের দোকানে বই পড়তে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বয়োজ্যেষ্ঠরা আসে এই পাঠাগারে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও প্রশারিত করবেন বলে জানান তিনি। 

জানা যায়, ভূঞাপুরে উপজেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে যমুনা নদীর পাড়ে নলিন বাজারের মুক্তিযোদ্ধা নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সুজনের ছোট একটি চায়ের দোকান। ছায়ানীড় প্রকাশনীর সহযোগিতায় চায়ের দোকানের এক কোণায় শতাধিক বই নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ময়না মুক্ত পাঠাগার’। 

সরেজমিনে দেখা যায়, এই চায়ের দোকানে নেই কোনো টেলিভিশন। এখানে মোবাইল আসক্ত থেকে বের হয়ে কবি, সাহিত্যিক ও বইপ্রেমীরাসহ স্থানীয়রা তাদের পছন্দের বই পড়ে সময় ব্যয় করছেন। চা খেতে আসা লোকজন চা খাওয়ার ফাঁকে বই পড়ছেন। এখানে দেশ-বিদেশের নানাগুণীজনদের বই রয়েছে। 

স্থানীয় শিক্ষার্থী রমজান, ব্যবসায়ী রফিকসহ অনেকেই বলেন, ‘চায়ের দোকানে কখনো তারা এমন ব্যতিক্রমী পাঠাগার দেখেনি। ছোট এই চা দোকানি সুজন আগ্রহ নিয়ে তার দোকানে টেলিভিশনের বদলে স্থাপন করেছেন পাঠাগার। যমুনা পাড়ে এখানে যারা আসেন তাদের বেশি ভাগই চায়ের ফাঁকে বিভিন্ন বই নিয়ে পড়তে ব্যস্ত দেখা যায়। বিষয়টি এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে এবং তার এমন উদ্যোগ প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।’

চা বিক্রেতা সুজন বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে তার এ দোকানে অনেক লোকজন আসে। তারা আশপাশের দোকানগুলোতে টেলিভিশন দেখা ও মোবাইল ফোন নিয়ে সময় কাটায়। এসব আসক্ত থেকে মানুষকে দূরে রাখতে তিনি তার দোকানে ময়না মক্ত পাঠাগারের সহযোগিতায় নিজ উদ্যোগে পাঠাগার স্থাপন করেছেন। স্কুল-কলেজ চলাসময়ে স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, তরুণ, যুবকসহ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা এখন নিয়মিত বই পড়ে সময় কাটায়। এলাকার মানুষও উৎসাহ দিতে তাকে সহযোগিতা করছেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে