চট্টগ্রামে গোপন খবরে অভিযান চালিয়ে তিনটি চোরাই সিএনজি উদ্ধার করল সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের পশ্চিম ইউনিট। এ সময় ধরা পড়েছে ভোলা থেকে আসা চক্রের দুই মূল সদস্যও। মঙ্গলবার রাতে শহরের চান্দগাঁও থানার খাজা রোডে অভিযান চালায় ডিবি টিম। এতে স্থানীয় বাবর চৌধুরীর গ্যারেজের সামনে ঘোরাঘুরি করছিল দুই ব্যক্তি। আচরণে সন্দেহ হওয়ায় তল্লাশি চালাতেই ফাঁস হয় ওই চক্রের পরিচয়।
গ্রেফতারকৃতদের নাম মোহাম্মদ আব্বাস (৩২) এবং মোঃ গিয়াস উদ্দিন (৩৫)। দু’জনেই ভোলা জেলার বাসিন্দা। আব্বাসের বাড়ি লালমোহনের তারাগঞ্জে আর গিয়াসের ঠিকানা তজুমদ্দিনের কোরালিয়ায়। তল্লাশিতে ধরা পড়ে তিনটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা, সঙ্গে একগাদা ভুয়া কাগজপত্র ও জাল নাম্বারপ্লেট।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, এই চক্র দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সিএনজি চুরি করে তা জাল কাগজে রেজিস্ট্রেশন করাত। এরপর ক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত দামে ওই সিএনজিগুলো বিক্রি করতো। এই চক্রের দেশের নানা জায়গায় সদস্য রয়েছে। এ কাজে তাদের সহায়তা করত চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুর এলাকার জনৈক কবির মিস্ত্রি। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। অটোরিকশা চুরির পর সেগুলোকে নতুন রূপ দিয়ে বাজারে ছাড়ত তারা। এ কাজে নাম্বারপ্লেট ও রেজিস্ট্রেশনের জালিয়াতি ছিল মূল অস্ত্র। এভাবে সিএনজি চুরি করে বিক্রি করার মাধ্যমে চক্রের অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন। তাদের ব্যাপারেও অনুসন্ধান চলছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তাদের সহযোগীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশ।