অপপ্রচার না চালানোর আনুরোধ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের

কালীগঞ্জে শিশু আয়াতের শরীরে ছিলো না সাপের বিষক্রিয়া

এফএনএস (টিপু সুলতান; কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ) : | প্রকাশ: ৪ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
কালীগঞ্জে শিশু আয়াতের শরীরে ছিলো না সাপের বিষক্রিয়া

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওয়াজিহা আয়াত নামে ১৬ মাস বয়সি একটি শিশুকে সাপে কেটেছে দাবি করে স্বজনরা ৩ আগষ্ট বেলা ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। আয়াত পৌর এলাকার শিবনগর গ্রামের ইব্রাহিম খলিল ও উর্মি বেগম এর একমাত্র সন্তান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফাড করেন। বর্তমানে আয়াত সম্পূর্ণ সুস্থ। এঘটনায় কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল চত্তরে স্বজনদের আহাজারির একটি ভিডিও সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আয়াতের দাদী সুফিয়া বেগম জানান, আমার নাতির বাম হাতের নিচে সাপে কাটার মতো চিহ্ন দেখতে পেলেও আমরা সাপ দেখতে পাইনি। তবুও দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে সাপে কাটার চিকিৎসা না দিয়ে আমাদেরকে ঝিনাইদহ হাসপাতালে যেতে বলে। সেসময় আমরা সরকারি এম্বুলেন্স না পেয়ে মোটরসাইকেল যোগে ঝিনাইদহ নিয়ে যায়। সদর হাসতালালে নেওয়ার পর মনি শান্ত হয়ে যায়। এরপর ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা করে জানায় শিশুটির শরীরে কোনো পয়জন নেই, আপনারা বাসায় চলে যেতে পারেন।

কালীগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শিশির কুমার ছানা জানান, আমরা শিশুরটির ক্ষত চিহ্ন দেখে সাপের কাটার আলামত না পেলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবজারবেশনে রেখেছিলাম। কিন্তু রোগীর স্বজনরা অনেক বেশী ভীত এবং উদ্বিগ্ন ছিলো। পরবর্তীতে তাদের ইচ্ছায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফাড করা হয়।ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুব্রত বলেন, শিশুটির শরীরে সাপে কাটার পাশাপাশি দুটো দাতের চিহ্ন আমরা পাইনি কিন্তু স্বজনরা কান্নাকাটি করে সাপে কেটেছে বলছিলেন সেই হিসাবে আমরা কিছুক্ষণ অবজারবেশনে রেখেছিলাম। পরে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ না পেয়ে সিন্টোমেটিক ম্যানেজমেন্ট করে রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে নিশ্চিত করে বলা যায়, তাকে সপে কাটেনি।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, আয়াত নামের শিশুটিকে সাপে কাটেনি। তারা যেসময় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলো সেসময় আমাদের কাছে এন্টিভেনাম ছিলো। ঐসময় সরকারি এম্বুলেন্স রোগী নিয়ে বাহিরে থাকায় এম্বুলেন্স সেবা পাইনি। প্রকৃত ঘটনা না জেনে রোগীর স্বজন বা সবাইকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার না চালনোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে