বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনুস জুলাইয়ের যে ঘোষণা পত্র দিয়েছেন, এটি আরো সংশোধন করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় বাদ পড়েছে, সেগুলো তার অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) চাঁদপুর শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল এণ্ড কলেজে শহীদ আব্দুল মালেক মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার অগ্রসর কর্মীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনেরজন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করতে হবে। একই সাথে নির্বাচনের জন্য প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণের মধ্যে যে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রধান উপদেষ্টার ভাষনের পর তৈরী হয়েছে সেগুলো দুর করে এবং সবকিছু ঠিকঠাক করে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করতে হবে। এসব বিষয়গুলো আমরা দাবি করে আসছি। এই দাবিগুলো যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে সাধারণ মানুষের মধ্যে তখন থেকে উৎকন্ঠা দূর হবে বলে আমরা মনে করি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে এই নেতা বলেন, জামায়াত এককভাবে দলের প্রার্থী ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে। একই সাথে ইসলামী দলগুলোর সাথে জোটবদ্ধ নির্বাচন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। নির্বাচনের তফসিল গোষণা করা হলে জোটের বিষয়টির ফলাফল দেখতে পারবেন। এখনো সুনির্দিষ্টভাবে কোন কিছু বলার সুযোগ আসেনি।
এ টি এম মাসুম বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে জামায়াতে ইসলামীর দাবী ছিলো স্থানীয় নির্বাচন আগে করা। কারণ জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ খুবই ভোগান্তিতে আছে। আমরা এখনো সেই দাবির মধ্যে আছি। আমরা সরকারকে এই দাবি এখনো জানাচ্ছি স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে জনগণের দু:খ দুর্দশা দুর করার দরকার এবং এরপর জাতীয় নির্বাচন হবে।
এই নেতা বলেন, যদি স্থানীয় নির্বাচন আগে হয়, এটিই দেশের জনগণের জন্য মঙ্গলজনক হবে এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা এই নির্বাচনের মাধ্যমে বুঝা যাবে, তারা জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারবে কিনা। সকলের কাছে তখন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে ধারণা পরিস্কার হবে।
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এই নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জামায়াত বাংলাদেশে একটি প্রানবন্ত সংসদ গঠন করতে চায়। বিগত পনেরো বছর দেশে একদলীয় স্বৈরাচারী সংসদ প্রতিষ্ঠিত ছিল। যাতে সকল দলের উপস্থিতি ছিল না। তাই সংসদে সকল দলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতি জরুরি।
এরপূর্বে অগ্রসর কর্মীদের নিয়ে জেলা জামায়াতের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কুমিল্লা জেলা উত্তর শাখার আমির অধ্যাপক মো: আবদুল মতিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজি। আরো বক্তব্য দেন জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল।
‘মানবতার সেবা ও দেশ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন’ এই লক্ষ উদ্দেশ্যে জেলার ৮ উপজেলার তিন শতাধিক অগ্রসর কর্মী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।