নোয়াখালীতে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হলেন প্রবাসী স্বামী

এফএনএস (নাসির উদ্দিন মিরাজ; বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
নোয়াখালীতে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হলেন প্রবাসী স্বামী

নোয়াখালীতে  স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হলেন এক হতভাগা (প্রবাসী) স্বামী। নিহত ব্যক্তির নাম মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৩) সে সৌদি প্রবাসী । ঘটনাটি ঘটেছে, ২৪ ডিসেম্বর  মঙ্গলবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর গ্রামের সিদ্দিক চৌকিদারের বাড়িতে। সে মোহাম্মদ সাইদুল হকের পুত্র। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে  ইসমাইল পার্শ্ববর্তী উপজেলা সোনাইমুড়ির আলোকপাড়া সওদাগর বাড়ির লিমা আক্তার ২৪ কে  বিয়ে করে।

বিয়ের এক বছর পর সৌদি আরবে যান । সে বিদেশ থাকার সুবাদে তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন আপন খালাতো ভাই মাইন উদ্দিন এর সাথে। 

দুই বছর বিদেশ থাকার পর গত সোমবার দেশে আসেন। দেশে এসে স্ত্রীকে ওই ছেলের সাথে সম্পর্ক না রাখতে বলেন এবং পরকীয়া থেকে ফিরে আসতে বারণ করেন। ইসমাইল ও তার স্ত্রী লিমা আক্তার একাই এক ঘরে বসবাস করতেন। তাদের কোন সন্তান নেই। এরই ধারাবাহিকতায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাতে  সে তার স্বামীকে মাথা ফাঁটিয়ে ও গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে খাটের উপরে শুইয়ে রাখে। সে কৌশলে ( ইসমাইলের স্ত্রী লিমা) তার শশুরকে  ডেকে বলে আপনার ছেলে কেমন যেন  করছে। তারা এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। 

পরিবারের লোকজন লাশ  দাফনের জন্য  প্রস্তুতি নিলে দেখতে পায় মাথা থেঁথলানো ও গলায় অনেক মোটা রশির দাগ। তখন তারা নিশ্চিত হয় এটি কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয় তাকে হত্যা করা হয়েছে। 

ইসমাইলের স্ত্রীর সাথে তার ভাইদের বাক বিতন্ডতার এক পর্যায়ে তার স্ত্রী চিৎকার দিয়ে বলে আমার স্বামীকে আমি মেরেছি কার কি? ইসমাইলের বাবা সাইদুল হক ও ভাই সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন লিমা পরকিয়ায় জড়িত তাকে ফেরানোর চেষ্টা করা হয় এই কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।তারা  আরো বলেন যেভাবে মারা হয়েছে এটি তার একার পক্ষে সম্ভব নয় সঙ্ঘবদ্ধভাবে ইসমাইল কে হত্যা করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার মুক্তার হোসেন ও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ বলেন, এই মেয়ের পরকীয়ার কারনে ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। তারা অপরাধীর  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন । পুলিশ ঘাতক স্ত্রী লিমা আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিক মাইনুদ্দিন কে আটক করে ও লাশ উদ্ধার করে। 


এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ানের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে, পরিবারের লোকজন এজাহার লিখছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে