বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া একটি ভ্যানের জন্য গাভীর দুধ বিক্রেতা শ্বশুরকে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়েছিলো খালের কচুরিপানার ভিতরে। হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২২ আগষ্ট রাত ১০টায় উপজেলার বাসাইল ও আহুতি রাস্তার পার্সে খালের পানির কচুরিপানার ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার ও হত্যার রহস্য উদৎঘাটন করলো আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ। জামাতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের। হত্যাকারিকে গ্রেফতারেপরে পুলিশ তাকে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দেআঁখ গ্রামের অখিল হালদাদার(৫০) এর মেয়ে আখিঁ হালদারকে এক বছর পূর্বে গৌরনদী উপজেলার পূর্ববাকাই গ্রামের কানাই বাড়ৈর ছেলে কৃষ্ণ বাড়ৈর (২৫) এর সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পরে জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈ রাশিয়া জাবেন বলে শ্বশুরে কাছে টাকা দাবিকরে। গাভীর দুধ বিক্রেতা শ্বশুর জামাতাকে ৪০ হাজার টাকা দেয়ন। জামাতার বিদেশ যাওয়া টাকা দালালেরা নিয়ে তাকে আর বিদেশ নেয়নি। এরপরে জামাতা শ্বশুরেকাছে একটি ভ্যান দাবিকরে। শ্বশুর একটি ভ্যান ক্রয়য়ের জন্য ঠিক করে জামাতাকে খবরদেয়। ২০ আগষ্ট বিকেলে শ্বশুর ও জামাতা ভ্যান ক্রয়রে জন্য গেলে জামাতা বাড়িফিরে আসলেও শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেনাই। ২১ আগষ্ট বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্বিকারউক্তিমতে ২২ আগস্ট রাতে লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী বিউটি হালদার বাদি হয়ে জামাতাকে আসামিকরে আগৈলঝাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানায় মালা নং ৭, (২২/৮/২০২৫ইং)।
আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. অলিউল ইসলাম বলেন, এঘটনায় নিহতের স্ত্রী বিউটি হালদার বাদি হয়ে জামাতাকে আসামিকরে আগৈলঝাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আমার হত্যাকারি স্বিকারমতে লাশ উদ্ধার করি। ২৩ আগস্ট লাশ ময়না তদন্তে জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপালের মরর্গে প্রেরনকরি। আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।