সাবমেরিন ক্যাবল ত্রুটিতে বিদ্যুৎহীন মেহেন্দিগঞ্জ

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) : | প্রকাশ: ২৯ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
সাবমেরিন ক্যাবল ত্রুটিতে বিদ্যুৎহীন মেহেন্দিগঞ্জ

সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটির কারণে বরিশালের নদীবেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা গত চারদিন ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ চরম বিপাকে পরেছেন। মোবাইলে চার্জ দেয়াসহ জরুরি সেবা পরিচালনার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করা ছাড়া উপায় মিলছে না।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে শুক্রবার দুপুরে মেহেন্দিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, মেহেন্দিগঞ্জের গজারিয়া নদীর তলদেশে থাকা সাবমেরিন ক্যাবল কেটে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে কোনো জাহাজ ঘটনাস্থলে নোঙর ফেলায় এমনটা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটির কারণে পাওয়ার হাউজ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় মেহেন্দিগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নে গত ২৬ আগস্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে সাবমেরিন ক্যাবলের ত্রুটি স্থল ডুবুরি নামিয়ে শনাক্ত করা হয়েছে।

ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলেন, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে ভাসমান ক্রেন দিয়ে সাবেমেরিন ক্যাবলের ত্রুটিস্থলের তার তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে। পরবর্তীতে তা মেরামতের কাজ করা হবে। মেরামত হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে। তিনি আরও বলেন, তবে যদি মেরামত করা সম্ভব না হয় তাহলে নতুন তার প্রতিস্থাপন করা হবে। সেক্ষেত্রে মেহেন্দিগঞ্জে বিদ্যুৎ আসতে আরও ৩/৪দিন সময় লাগতে পারে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নদীবেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ২০০৪ সালে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। যে সংযোগটি মুলাদী হয়ে মেহেন্দিগঞ্জের দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের গজারিয়া নদীর তলদেশ দিয়ে আনা হয়। বর্তমানে গজারিয়া নদীর তলদেশে থাকা সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটির কারনে সন্ধ্যা হলেই বিদ্যুৎহীন উপজেলার হাট-বাজারসহ সর্বত্র ভুতুড়ে পরিস্থিতি বিরাজ করে। জেনারেটর দিয়ে শত শত মানুষ মোবাইল চার্জসহ অতিজরুরি কাজগুলো করছেন। তবে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ভর্তি রোগীদের রাতে বিপাকে পরতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিয়াজুর রহমান জানিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে (২/১) সংযোগটি দেয়া যাবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে