দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে চায়না দূয়ারী জাল। এতে করে বিভিন্ন প্রাজাতির দেশী মাছের বিলুপ্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। খাল-বিলে এসব ফাঁদ পেতে ব্যাপক হারে ছোট দেশী মাছ শিকার করছে জেলেসহ মৎস্য শিকারীরা। গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জেলেসহ সাধারণ মানুষ এই জালে মাছ শিকার করছেন। আর এই ফাঁদে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই ফাঁদ বসানো হলে নদী ও জলাশয়ের পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়। জালের ছিদ্র এতই ছোট যে, ছোট বড় মাছ বের হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। জেলে ও সাধারণ মানুষ লোহার রডে গোলাকার বা চতুর্ভূজ আকৃতির কাঠামোর চারপাশে চায়না জাল দিয়ে ঘিরে এই চায়না দূরারী নতুন ফাঁদ তৈরী করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন হাট-বাজার দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের পোনা বিক্রি হচ্ছে। যেগুলো চায়না দূয়ারী দিয়ে ধরা বলে দাবী করছেন স্থানীয়রা। রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৎস্য চাষী তুহিন বলেন, উভয় দিক থেকে ছুটে চলা যে কোন মাছ সহজেই এই চায়না দূয়ারী জালে সহজেই আটকা পড়ে যায়। একবার যে কোন ছোট-বড় মাছ ঢুকলে বের হওয়ার সুযোগ নেই চায়না দূয়ারী জাল থেকে। উপজেলার শাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা শংকর চন্দ্র রায় বলেন, হাঁস বিলে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি চায়না দূয়ারী জাল দিয়ে মাছ ধরছে অবৈধভাবে। স্বল্প ব্যয়ে এবং স্বল্প পরিশ্রমে অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় মাছা শিকারীদের কাছে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই জাল। অবৈধ চায়না দূয়ারী জালে রেনু পোনাও রেহাই পাচ্ছে না। দীর্ঘ দিন ধরে এই ভাবে মাছ ধরা চলে আসলেও প্রশাসনের জোড়ালো কোন ভূমিকা বা তৎপরতা লক্ষ্য করা যাইনি বলে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
শনিবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জোবাইদা নাজনীন-এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার অভিযান অব্যহত রয়েছে। জনবল সংকট থাকার কারনে সময়মতো অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার হাঁস বিল থেকে ৮টি চায়না দূয়ারী জাল ও ৩টি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। সচেতন মহলের দাবী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দেশীয় মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবী।