একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত তিন মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন স্বামী ও দুই ছেলে। এরইমধ্যে নিজ ঘর থেকে থানা পুলিশ উদ্ধার করেছেন গৃহবধূ রেশমা বেগমের (৪৫) মরদেহ।
বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশ মৃত রেশমা বেগমের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন। ঘটনাটি বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের।
সফিপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ সোহাগ জানিয়েছেন, মৃত রেশমা বেগম ওই গ্রামের আব্দুল লতিফ বেপারীর স্ত্রী। গত প্রায় তিনমাস ধরে রেশমার স্বামী আব্দুল লতিফ বেপারী এবং তার দুই ছেলে সুমন ও সুজন বেপারী কারাগারে রয়েছেন।
রবিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাতে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে সন্দেহজনক হওয়ায় রবিবার বিকেলে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ওসি আরও জানান, এরপূর্বে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে রবিবার সকালে বোয়ালিয়া গ্রামের বেপারী বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বেপারীর ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার স্ত্রী রেশমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে ছোট দুই সন্তান নিয়ে রেশমা বেগম নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রবিবার সকালে তিনি বাহিরে বের না হওয়ায় স্থানীয় এক নারী তাকে ডাকতে যান। ওই সময় ঘরের দরজা খোলা দেখে ভিতরে প্রবেশ করে আড়ার সাথে রেশমা বেগমকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ সোহাগ বলেন, বোয়ালিয়া গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন হত্যা মামলায় আব্দুল লতিফ বেপারী ও তার দুই ছেলেকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত প্রায় তিন মাস ধরে তারা কারাগারে রয়েছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী স্বামী ও দুই সন্তান কারাগারে থাকায় রেশমা বেগম চরম বিষন্নতায় ভুগছিলেন।