চাঁদপুরে ৬০-১০০ টাকায় পেটচুক্তি ভাত বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া

এফএনএস (মিজানুর রহমান; চাঁদপুর) :
| আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম | প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
চাঁদপুরে ৬০-১০০ টাকায় পেটচুক্তি ভাত বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া

মাত্র ৬০ এবং ১০০ টাকায় মুরগির মাংস, ১টি সেদ্ধ ডিমের তরকারি, পেয়াজ দিয়ে আলু ভর্তা, ডাল, সালাদসহ পেটচুক্তি ভাত বিক্রি করে সাড়া ফেলেছেন চাঁদপুর শহর লাগোয়া পুরাণবাজার রঘুনাথপুর বেপারি বাজারের আবুল হাসনাত গাজী। একদিনে কেউ কেউ খেয়ে ফেলছেন ৭০০ গ্রাম চালের ভাতও। তবুও সব মিলিয়ে বেচাবিক্রিতে খুশি এ দোকানী।

জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই বাজারে গরু ছাগলের হাট বসে। একেবারেই কম হাসিল নেয়ায় এ হাটের জনপ্রিয়তা দেখে দূর দূরান্তের খেটে খাওয়া খামারি ও বেপারীরা গুরু-ছাগল নিয়ে এসে এ হাটে বেচাকেনা করেন। দরদামে পছন্দের গরু- ছাগল ক্রয়- বিক্রয়ে ভোর হতে দুপুর পর্যন্ত হাকডাকে জমজমাট থাকে এ হাট। আর এ সময়টাতে এখানে আসা ক্ষুধার্ত মানুষের কথা চিন্তা করেই হাট কর্তৃপক্ষ একেবারে কমদামে পেটভরে খাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে একটি গরিবের হোটেল পরিচালনা করছে।

দোকানের কর্মচারীগণ জানান, সকাল হতেই দোকানটিতে চালসহ অন্যান্য উপকরণ বসিয়ে দোকানেই প্রকাশ্যেই গরম গরম রান্না হয়। সেখানে ১ টুকরো ফার্মের মুরগী, আলু ভর্তা,ডাল, সালাদ দিয়ে আনলিমিটেড ভাত খেলে গুনতে হয় মাত্র ১শ’ টাকা, ফার্মের মুরগীর স্থলে পাকিস্তানি মুরগী দিয়ে খেলে দেড়’শ টাকা, এক টুকরো মাছ দিয়ে ১শ’ টাকা এবং আলুর ঝোলের ডিম সিদ্ধের তরকারি দিয়ে খেলে দিতে হয় ৬০ টাকা। অল্প টাকায় পেট ভরে খাওয়া যায় বিধায় দোকানটিতে সারাক্ষণই ভীর লেগে থাকে।

এখানে খেতে আসা লোকজন জানান, একদম ঘরোয়া পরিবেশের মতো খাবার লাগছে। দামও সস্তা। ৪/৫ প্লেট ভাত অতিরিক্ত নিলেও দাম একই। তাই পেট ভরে খাওয়া যাচ্ছে। বাজারে এলে আমরা এ হোটেলেই সব সময় খাবার খাই।

গরিবের হোটেল পরিচালনাকারী আবুল হাসনাত গাজী বলেন, কখনও কখনও শুধু আনলিমিটেড ভাতই নয় বরং ডাল ও ভর্তাও কয়েকবার নিজের হাতেই নিয়ে দিয়ে চেটেপুটে খাচ্ছে মানুষ। যা দেখে মানসিক তৃপ্তি পাই। এখানে আমার নেতৃত্বে ৪ জন কাজ করছে। এমন মহৎ উদ্যোগে জড়িত হতে পেরে ভালো লাগছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদরের লক্ষ্ণীপুর মডেল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ শাহজাহান বেপারী বলেন, বাজারটির হাটে আসা গরু যিনি কিনে তার জন্য ৩শ’ টাকা ও যিনি বিক্রি করে তার জন্য মাত্র ২শ’ টাকা হাসিল নেয়া হয়। এখানে দিনে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। বাজারটি যাতে সুশৃঙ্খলতা ধরে রাখা হয় সে প্রত্যাশাই এখানে আসা লোকজনের। এই বাজারে আসা মানুষের সুবিধার্তে অচীরেই খাবারের ম্যাণুতে আরও কিছু আইটেম যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মানুষ যাতে সাধ্যের মধ্যে কম বাজেটেও ভালো খাবার খেতে পারে সে চিন্তা থেকেই আমরা হোটেলটি পরিচালনা করছি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে