নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চাঁদপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। ০২ অক্টোবর, ২০২৫ রাতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সনাতনী ধর্মাম্বলিরা শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর প্রতিভা বিসর্জন দেয়।
চাঁদপুর অঞ্চল নৌ পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের আওতাধীন চারটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ নৌ-ঘাটসমূহে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ডিউটির ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
বিকাল ৫ টা থেকে বিসর্জন কার্যক্রম শুরু হয় এবং রাত ১১:১৫ টার মধ্যে চাঁদপুর জেলায় ২২৪ টি মন্দিরসমূহের মধ্যে চাঁদপুর সদর-৪, মতলব দ: -০৬,মতলব উ: ২১,হাজিগঞ্জ -০৪ , মোট ৩৫টি ব্যতিত ১৮৯ টি প্রতিমা বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছরে ৩৫ টি মন্দিরের দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন না দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার শহরের চৌধুরী ঘাটে পৌরসভার সহযোগিতায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চাঁদপুর কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মঞ্চ স্থাপন করা হয়। এই মঞ্চ থেকে মোট ২৫টি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।অপরদিকে, শহরের পুরান বাজার অংশে টিএন্ডটি সড়ক রেডক্রিসেন্ট ঘাটেও প্রতিভা বিসর্জন হয়।
কেন্দ্রীয় বিসর্জন কার্যক্রম পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, পৌর প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া, লেঃ কর্নেল মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী; পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম, নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, এনএসআই চাঁদপুর যুগ্ম পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ, কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার শওকত আহম্মদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামিউল হিকমা, সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহম্মেদ পিপিএম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিসর্জন কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা সার্বিকভাবে নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত ছিলেন। নৌ পুলিশ, চাঁদপুর অঞ্চলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সার্বিক পরিবেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ছিল এবং কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।