বাংলাদেশ চিনিশিল্প করপোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের উপস্থাপিত চার দফা দাবির পক্ষে দেশের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের সবচেয়ে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকল গেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৯টার দিকে মোচিক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের আয়োজনে মিলের প্রধান প্রবেশদ্বারে এই গেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি সাহার আলী।গেট মিটিংয়ে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন, সহ-সভাপতি সাহাদ আলী, কারখানার ডিজেল চালক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, ক্রয় করনিক রাজন আলী, ওয়াকসপ টার্নার মুহিদুল ইসলাম বাবুল প্রতাপ, টাইম কিপার আতিয়ার রহমান, ইলেকট্রনিক শ্রমিক বকুল হোসেন প্রমুখ। মিলগেটে জড়ো হওয়া শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীরা স্লোাগান ও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মৌসূমী শ্রমিকদের স্থায়ী পদে সমন্বয় না হওয়ায় তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। একইভাবে কানামুনা শ্রমিক-কর্মচারীদের পদোন্নয়ন ও নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে থাকায় বিভিন্ন মিলের উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই স্ব স্ব পদে নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব চিনিকলে কানামুনা শ্রমিকদের কাজ বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন তারা।এ ছাড়া বক্তারা পে-কমিশনের কর্মচারীদের মতো মজুরি কমিশনের অধীন শ্রমিকদেরও বৈষম্যহীনভাবে ১৫% বিশেষ সুবিধা প্রদানের দাবি জানান। সরকারের ঘোষণা মতে ১ জুলাই ২০২৫ থেকে এ সুবিধা কার্যকর না হলে অগ্রিম সুবিধা বেতনের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি করেন তারা। দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মরত দক্ষ জনবলের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ৫ মে ২০২৫ সালের গেজেট অনুযায়ী বেসিক বাড়িভাড়া ৫০%, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা ও যাতায়াত ভাতা ৫০০ টাকা অন্তর্ভুক্ত করে নতুন দৈনিক হার নির্ধারণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।২০২৫-২৬ মাড়াই মৌসুম নির্বিঘ্নে চালাতে সিডিএ/সিআইসি ও অন্যান্য কর্মচারীদের ছুটির দিনেও কাজের গতি বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি মৌসুমী শূন্য পদের বিপরীতে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক জনবল নিয়োগের অনুমতি দিলে কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি পাবে এবং মিলের আর্থিক সাশ্রয় হবে।