দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বরূপকাঠীতে ছিলো মৃত্যু মানুষের ভোট

আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচন চরমভাবে প্রভাব পড়েছিল পিরোজপুরের-২ আসনের নেছারাবাদে  (স্বরূপকাঠী) উপজেলায়। এ সংসদ আসনটি স্বরূপকাঠি, কাউখালী ও ভান্ডারিয়া তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ না করায় স্বরুপকাঠীর ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৩১ জন ভোটারদের ৮০টি ভোট কেন্দ্রই ছিল ভোটার শূন্য। প্রায়ই ভোট কেন্দ্রগুলোতে আনসার, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও প্রিজাইডিং অফিসার ভোটার উপস্থিতি কারণে ব্যবস্থা সময় পার করলেও ভোট গ্রহণ কক্ষগুলোর এজেন্ট ভোটারবিহীন ঘুমন্ত প্রায়। একই চিত্র দেখা গিয়েছিল পিরোজপুর- ২ আসনের সবগুলো ভোট কেন্দ্রগুলোতে। পিরোজপুরের-২ আসনের আওতায় স্বরুপকাঠীতে  আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যে পাতানো ডামি নির্বাচনে মাধ্যমে জনগণের ভোটার অধিকার হরণ করে স্বরুপকাঠীর এক লাখ ৮৯ হাজার ভোট ডাকাতি করেছিল আওয়ামী লীগ, তা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধাতার কারণে মুখ খুলতে পারেনি মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা নির্বাচন কমিশনার অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, স্বরুপকাঠী (নেছারাবাদ) উপজেলের ভোটার সেন্টারগুলোতে অনেকটা জনশূন্য থাকলেও  প্রায় ৪২% ভোট কাস্ট দেখানো হয়। ৭ জানুয়ারি  যার মধ্যে ৮ পার্সেন্ট ছিলও মৃত্যু মানুষের ভোট। জাতীয় পার্টির (জেপি) নৌকা মার্কার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে হারিয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কা জয়ী হন ডামি প্রার্থী হিসেবে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারীর সংসদ নির্বাচনে স্বরুপকাঠীর কোনো ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের লক্ষণীয় উপস্থিতি দেখা যায়নি। ২০১৪ সহ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দেখা গেছে ভোটার বিহীন প্রতারণা নির্বাচনের একই চিত্র। তিনটি নির্বাচনে একইভাবে নির্বাচনী প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ বছর ৭ মাস ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা হয়ে উঠে এক ফ্যাসিবাদ সরকার।