জুলাই-আগষ্টের বিপ্লবের পর চাঁদপুরে আওয়ামীলীগের কেউ সরব উপস্থিতিতে দলীয় কার্যক্রম না চালালেও দলটির অস্তিত্ব রক্ষায় সোশ্যাল মিডিয়াসহ স্বশরীরের একমাত্র লোক হিসেবে বাস্তবিক জীবনেও দলীয় প্রচার-প্রচারণাসহ সবরকমের কার্যক্রম বীরদর্পে চালিয়ে যাওয়া চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম আটক হয়েছেন। রোববার( ২ ফেব্রুয়ারি,২০২৫) দুপুরে শহরের চেয়ারম্যান ঘাটস্থ তার আইনজীবী কার্যালয় থেকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া। জানা যায়, জুলাই-আগষ্টের ঘটনাসহ রাজনৈতিক যত মামলা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হয়েছে। তা এ জেলায় একমাত্র আইনজীবী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীর পক্ষে সাহস দেখিয়ে আদালতে মুভ করতেন অ্যাড. জহির। এমনকি কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদেরকে শেখ হাসিনার পক্ষে ব্যানার নিয়ে গিয়ে তিনি শীতবস্ত্র বিতরণ করে এসেছেন। সবশেষ তিনি জুলাই বিপ্লবের ২য় স্বাধীনতাকে প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করে আলোচনার জন্ম দেন এবং এরপরই তিনি পুলিশের কাছে দুপুরে আটক হন। ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযোগদাতা চাঁদপুর জেলা সমবায় উপ-সহকারী নিবন্ধক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সমবায়ের একটি নির্বাচনের ফলাফল আমি ঘোষণাকালে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবকে আমি ২য় স্বাধীনতা বলায় তিনি আপত্তি জানায়, আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ, বক্তব্য না দেয়ার জন্য বাঁধা প্রদান এবং ওই বক্তব্য প্রকাশ্যে প্রত্যাহার করতে বলেন। আমি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় তিনি বার বার আমার দিকে তেড়ে আসেন। অ্যাড. জহির ২য় স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই এবং এটি মানতে নারাজ জানিয়ে আমাকে অসম্মান এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তাই আমি এই ব্যাক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দারস্ত হই। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া বলেন, অ্যাড. জহিরকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি এখনো আমাদের কাছে আছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।